রুটের দুই রেকর্ড, হাতছানি দিচ্ছে বিশ্বরেকর্ড

লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৭ রানের লিড নিয়েছে ইংল্যান্ড। ভারতের করা ৩৬৪ রানের জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৯১ রান করেছে ক্রিস সিলভারউডের শিষ্যরা। ইংলিশদের হয়ে দলপতি রুট একাই করেছেন ১৮০ রান। এতে তিনি দুটি রেকর্ড গড়েছেন। হাতছানি দিচ্ছে আরেকটি বিশ্বরেকর্ড।

জো রুট

১১৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। দলীয় ২২৯ রানে জনি বেয়ারস্টোকে হারায় স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হওয়ার আগে ১০৭ বলের মোকাবেলায় ৭ চারের মারে ৫৭ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি জস বাটলার ও মঈন আলি। এই দুইজনের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৩ ও ২৭ রান। আশা ছিল স্যাম কারানের ওপর। এই অলরাউন্ডার প্রথম বলেই ইশান্ত শর্মার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অলি রবিনসন, মার্ক উড, জেমস অ্যান্ডরসনরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

একে একে সবাই বিদায় নিলেও হাল ছাড়েননি রুট। ১৮ চারে খেলেন ১৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাতেই দুটি রেকর্ড গড়েছেন ইংলিশ দলপতি। সব মিলিয়ে এই বছর ১০ টেস্টে ৫ সেঞ্চুরি হয়ে গেল রুটের। আর কোনো ইংলিশ অধিনায়ক এক পঞ্জিকাবর্ষে এতগুলো টেস্ট সেঞ্চুরি করতে পারেননি।

অধিনায়ক হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি ৭ সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে রিকি পন্টিংয়ের। চলমান সিরিজে আরও তিনটিসহ এই বছর বেশ কয়েকটি টেস্ট আছে ইংল্যান্ডের। তাই রুটের সুযোগ থাকছে সাবেক অজি অধিনায়ককে পেছনে ফেলে বিশ্বরেকর্ড গড়ার।

এদিন টেস্ট ক্রিকেটে ৯ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন রুট। ইংল্যান্ডের হয়ে আগে কেবল অ্যালেস্টার কুকই এই অর্জনের দেখা পেয়েছেন। ২০৬ ইনিংসে নয় হাজার রানের দেখা পেয়েছিলেন কুক। রুটের লাগল ১৯৬ ইনিংস।

ভারতের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন সিরাজ। ৯৪ রানে ৪ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ শামির শিকার যথাক্রমে ৩ ও ২ উইকেট।