বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির খোঁজে বাংলাদেশ

খেলা হয়ে গেছে চার চারটা বিশ্বকাপ। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেঞ্চুরি করতে পারেননি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছেন, এবার হয়তো আশরাফুলের ৮৭ রানের সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ- স্কোর ভেঙে কেউ সেঞ্চুরি করবেন। কে করতে পারেন সেঞ্চুরি? সে যে-ই হোক, চলুন বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের কিছু ওয়ানডে পরিসংখ্যান দেখা যাক।

৮-১৭; বিশ্বকাপের বাংলাদেশের জয় পরাজয়ের রেকর্ড। অর্থাৎ বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত আটটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে ১৭টি ম্যাচে। সব দলের মধ্যে জয়-পরাজয়ের হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান নয় নম্বরে। বিশ্বকাপে বড় কিছু জয়ের রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। ১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারানো, ২০০৭ সালে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো এবং ২০১১ সালে ইংল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক বড় ঘটনা।

গত দুই বছরে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানরা

বিশ্বকাপে কোনো সেঞ্চুরি নেই বাংলাদেশের। সর্বোচ্চ ৮৭ রানের একটি ইনিংস আছে ২০০৭ বিশ্বকাপে। খেলেছিলেন আশরাফুল। ওই ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়েছিলো বাংলাদেশ। এ ছাড়া ৭৫ বা এর চেয়ে বেশি রানের রেকর্ড নেই কোনো দলের। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪৪ রান করেছেন সাকিব আল হাসান। তামিমের সংগ্রহ ৩২৯ রান। বিশ্বকাপে আর কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের ৩০০-এর বেশি রান নেই।

এক সময় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা ছিলো ওপেনিং পার্টনারশিপ। কিন্তু গত দুই বছরে পরিস্থিতি বেশ বদলে গেছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত খেলা ওয়ানডেগুলোতে ওপেনিং জুটির গড় রান ৩৯.৬০। এই সময়ে প্রথম উইকেটের চেয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি রান করেছে কেবল তিনটি দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

শেষ দশ ওভারের ব্যাটিংয়ে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। গত দুই বছরের শেষ দশ ওভারে গড়ে ৭.৭ করে রান করেছেন নাসির-সাব্বিররা। দক্ষিণ আফ্রিকা (৭.৬৪), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭.৫৬), শ্রীলঙ্কা (৭.৫৫), ইংল্যান্ড (৭.৫২) ও পাকিস্তানের (৭.২৪) চেয়ে ভালো করেছেন তারা। 

শেষ দশ ওভারে ব্যাট হাতে দারুণ করলেও বল হাতে গুলিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। রান দিয়েছে ৭.৮৮ করে। এর চেয়ে বেশি রান দিয়েছে কেবল দুটি দেশ; জিম্বাবুয়ে (৮.২১) ও ইংল্যান্ড (৮.০৭)।

আপনি আরও পড়তে পারেন

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ক্লার্ক

বড় জয়ে শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

আভাস দিয়ে রাখলেন আফ্রিদি