মুস্তাফিজের ‘ছাত্র’ শরিফুল

তামিম ইকবাল চোট নিয়ে আগেই সরে দাঁড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে। তিনি ছিলেন না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। দুটো সিরিজের একটিতেও খেলা হয়নি অভিজ্ঞ আরেক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাদের অভাবটা বুঝতেই দেননি দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে বাংলাদেশের বোলাররা।

মুস্তাফিজুর রহমান তো আছেনই, অন্য প্রান্তে আলো ছড়াচ্ছেন মেহেদি হাসান ও শরিফুল ইসলাম। মুস্তাফিজ ও শরিফুল দুজনই পেসার। দুজনের বোলিংয়ের ধরনে অনেকটাই মিল আছে। কিন্তু দুজনের মধ্যে সবচেয়ে বড় তফাৎ একটা জায়গায়। সেটা শুধু শরিফুলই নন, তামাম দুনিয়ার সব বোলারের চেয়ে ফিজ আলাদা কাটারের কারণে।

এবারের অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মুস্তাফিজের কাছ থেকে ভয়ঙ্কর সেই কাটার শেখার চেষ্টা করছেন শরিফুল। এই মুস্তাফিজের কাছ থেকেই অভিষেক ক্যাপ পরেছিলেন তরুণ পেসার। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। শরিফুল আগুন ঝরিয়েছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের সিরিজে। আলো ছড়াচ্ছেন চলমান অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও।

এবারের সিরিজের চারটি ম্যাচ হয়েছে মন্থর গতির উইকেটে। যা স্পিনারদের জন্য আদর্শ। সেখানে ঝড় তুলেছেন দুই পেসার মুস্তাফিজ ও শরিফুল। সিরিজে চার ম্যাচে দুজনই সমান সাতটি করে উইকেট নিয়েছেন। তবে মুস্তাফিজ যতটা মিতব্যয়ি বোলিং করেছেন ততটা পারেননি শরিফুল। ফিজ ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৩.৫৬! আর শরিফুল ৬.৩৮।

অজিদের বিপক্ষে স্লোয়ার এবং কাটার করেছেন শরিফুলও। কিন্তু মুস্তাফিজের মতো অতটা কার্যকর বা ভয়ঙ্কর নয়। মুস্তাফিজের আছে প্রাকৃতিক প্রতিভা। যেটা শরিফুলের নেই। কিন্তু বোলিং স্কিলের যে জায়গাটা আছে সেটা ফিজের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছেন শরিফুল। রোববার বিসিবির ভিডিও বার্তায় সেটাই জানালেন তিনি।

কুড়ি বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসার বলেছেন, ‘মুস্তাফিজ ভাইয়ের কাছ থেকে আমি শেখার চেষ্টা করছি, তিনি কীভাবে কাটার মারেন। অনুশীলনে চেষ্টা করেছি। কিন্তু ম্যাচে এখনো তার মতো করে চেষ্টা করিনি। ওনার ডেলিভারির ধরন ও কাটারটা একদম আলাদা। আমি সেটা রপ্ত করার চেষ্টা করছি।’

শরিফুল যোগ করেন, ‘তিনি সবসময় বলেন যে, মিরপুরে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য কাটার খুব বিপজ্জনক। কারণ হালকা থেমে আসে, একটু টার্ন করে স্পিনারদের মতো। উনি এটাও বলেছেন কাটারটা বেশি ব্যবহার করতে।’ এই সিরিজেই মুস্তাফিজের কাছ থেকে প্রথম শিখছেন না শরিফুল। এর আগে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকেও ফিজের ‘ছাত্র’ হয়ে গেছেন তিনি।