তবু হতাশ সৌম্য

বাংলাদেশ দলের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাইলফলকের ম্যাচে আট উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। বৃহস্পতিবার কুড়ি ওভারের সিরিজের প্রথম ম্যাচে উপলক্ষ্যটা রাঙিয়ে দিল বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্য আর দুই ওপেনারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে বড় জয় পেয়েছে সফরকারীরা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে ইনিংসের এক ওভার বাকি থাকতে ১৫২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ম্যাচের সাত বল বাকি থাকতে দুই উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নেয় টাইগাররা। সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেয় দুই ওপেনারের ১০২ রানের জুটি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে এটাই বাংলাদেশের প্রথম শতরানের জুটি।

এই জুটি গড়ার পথে সৌম্য সরকার তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ৪৫ বলে ৫০ রানে ফিরেছেন তিনি। তার সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম অবশ্য ম্যাচটা শেষ করে এসেছেন। ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম। তবে বল হাতে এক উইকেট ও ব্যাট হাতে হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সৌম্য।

কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরস্কারের পরও পুরোপুরি তৃপ্ত হতে পারেননি সৌম্য। কারণ টেস্ট ও ওয়ানডে দল জায়গা হারিয়েছেন আগেই। তার কাছে বাংলাদেশ দলে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে থাকতে পারাটাই সবেধন নীলমনি। এই ফরমেটে যতোটা সম্ভব নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। সে চেষ্টা করেছেন বটে। কিন্তু নাঈমের মতো ম্যাচটা শেষ করতে না পারায় আফসোস হচ্ছে তার।

হাফসেঞ্চুরির বলেই দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হয়েছেন সৌম্য। ম্যাচের পর বিসিবির ভিডিও বার্তায় টাইগার ওপেনার বলেছেন, ‘অবশ্যই হতাশ হয়েছি। রান আউট হয়েছি…। যদি আমি (শেষ পর্যন্ত) থাকতাম তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাসের জন্য ভালো হতো। আমি থাকলে হয়তো আরো দুই ওভার আগে (খেলা) শেষ হতে পারতো। ওদের বাঁ-হাতি স্পিনার ছিল। আমি চার্জ করতে পারতাম।’

প্রায় চার মাসের মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলতে নেমেই অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। সাবলীল হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটায় অবশ্য শুরুর দিকটায় অস্বস্তিতে ছিলেন সৌম্য। এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছেন সৌম্য। নাঈমও শুরুর দিকটায় সুবিধা করতে পারছিলেন না। এই যুগল প্রথম তিন ওভারে যোগ করেছেন মাত্র নয় রান। এরপর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা।