ইংল্যান্ডের নাটকীয় সিরিজ জয়

জ্বলে উঠলেন আদিল রশিদ। অলিখিত ফাইনালে দুর্দান্ত বোলিং করলেন ডানহাতি স্পিনার। তবু পাকিস্তানকে দেড় শ রানের মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারেনি ইংল্যান্ড। মোহাম্মদ রিজওয়ানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান কুড়ি ওভারে ছয় উইকেটে তোলে ১৫৪ রান। এই রান তাড়াতেই অগ্নিপরীক্ষায় পরে গিয়েছিল ইংলিশরা।

শেষ পর্যন্ত স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। মঙ্গলবার রাতে ম্যানচেস্টারে তৃতীয় তথা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংলিশরা জিতেছে দুই বল ও তিন উইকেট হাতে রেখেই। কাঠখড় পোড়ানো এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নিল ইংল্যান্ড। জেসন রয়ের শুরু এবং ইয়ন মরগানের শেষের ঝড়ে নাটকীয় জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।

শেষ চার ওভারে ৩৯ রানের কঠিন সমীকরণ। ১৭তম ওভারেই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। তোলে দশ রান। পরের ওভারে হাসান আলিকে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন মরগান। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ হাফিজের জোড়া ধাক্কা। ওই ওভারেও এসেছে ১০ রান। শেষ ওভারে ছয় রানের সমীকরণ সহজেই মিলিয়ে ফেলে ইংলিশরা।

অবশ্য জয়ের পথটা মসৃণ করে গেছেন ওপেনার জেসন রয়। ৩৬ বলে ৬৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১২টি চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ইংলিশ ওপেনার। দুর্দান্ত এই হাফসেঞ্চুরি তাকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। জস বাটলার ২২ বলে করেছেন ২১ রান। ৩৩ বলে ৩১ রান এসেছেন ডেউইড মালানের ব্যাট থেকে।

এরপর শেষ দিকে মরগানের দায়িত্বশীল ব্যাটিং। ১২ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২১ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাকে আউট করেন সেই হাসানই। হাসানের মতো একটি করে উইকেট নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম, উসমান কাদির এবং সাদাব খান। সর্বোচ্চ তিন উইকেট গেছে হাফিজের ঝুলিতে।

এর আগে রিজওয়ানের প্রায় একক ঝড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পাকিস্তান। ৫৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থাকেন পাক ওপেনার। ১৩ বলে ১১ রান করেছেন অধিনায়ক বাবর আজম। ১২ বলে ১৩ রান এসেছে মাকসুদের ব্যাট থেকে। শেষ দিকে কুড়ি বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৪ রান করেন তিন। সমান চার-ছক্কায় নয় বলে ১৫ রান করেন হাসান।