দারুণ জয়ে ফিরল ইংল্যান্ড

আগের ম্যাচে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তোলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে সেই রানের চাপায় পরে ইংল্যান্ড। দুশো ছাড়িয়েও জয়ের দেখা পায়নি তারা। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ২০০ রান করল ইংলিশরা। এবার সেই রানের চাপে শেষ হয়ে গেল সফরকারী পাকিস্তান। ইংল্যান্ড জিতল ৪৫ রানে।

রোববার লিডসে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে দুশো রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে নয় উইকেটে ১৫৫ রান তুলতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল স্বাগতিক শিবির। আগামী মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারে অলিখিত ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।

ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের নায়ক টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান অধিনায়ক জস বাটলার, মঈন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩৯ বলে সাত চার ও দুই ছক্কায় ৫৯ রান করেন বাটলার। ১৬ বলে ছয় চার ও এক ছক্কায় ৩৬ রান এসেছে মঈনের ব্যাট থেকে। আর ২৩ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রান করেন লিভিংস্টোন। এ ছাড়া জেসন রয় ১০, জনি বেয়ারস্টো ১৩ ও ক্রিস জর্ডান ১৪ রানে আউট হন।

জবাব দিতে নামা পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ষষ্ঠ ওভারেই দলীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেয় তারা। ওই ওভারেই প্রথম উইকেটের পতন। এরপর নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট খুইয়েছে পাকবাহিনী। একদিকে আস্কিং রেট ও অন্যদিকে উইকেট আগলে রাখার চাপ- দুইয়ে মিলে শেষ হয়ে গেছে সফরকারী দলটি।

আট নম্বরে ব্যাট করতে এসে ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন শাদাব খান। ২২ বলের ইনিংসে দুটো ছক্কা ও তিনটি চার মেরেছেন তিনি। ২৯ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান এসেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া বাবর আজম ১৬ বলে ২২, শোয়েব মাকসুদ ১০ বলে ১৫, মোহাম্মদ হাফিজ ১২ বলে ১০ এবং ইমাদ ওয়াসিম ২০ বলে কুড়ি রানে আউট হন।

ইংল্যান্ডের দারুণ জয়ের রাতে ম্যাচ সেরা হয়েছেন মইন। ব্যাট হাতে ঝড় তোলার পর বল হাতে নিয়েছেন দুই উইকেট। আদিল রশিদেরও শিকার সংখ্যা সমান। তবে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন সাকিব মাহমুদ। খালি হাতে ফেরেননি টম কারান, ম্যাথু পার্কিনসনও। পাকিস্তানের পক্ষে দুটি করে উইকেট নন ইমাদ ওয়াসিম ও হ্যারিস রউফ। তিনটি শিকার মোহাম্মদ হাসনাইনের।