‘ডাবল সেঞ্চুরির’ দিনে টেলরের আক্ষেপ

জিম্বাবুয়ের অনেক উত্থান-পতনের সঙ্গী ব্রেন্ডন টেলর। একবার তো অবসরও নিয়েছিলেন। আবার ফিরেও এসেছেন অভিজ্ঞ এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এই আসা-যাওয়ার মাঝখানে কেটে গেছে ১৭টি বছর। দীর্ঘ এই যাত্রার পর আজ শুক্রবার স্বপ্নের এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন টেলর। চতুর্থ জিম্বাবুইয়ান হিসেবে ওয়ানডেতে খেললেন ২০০তম ম্যাচ।

ব্রেন্ডন টেলর, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

কিন্তু তার মাইলফলক ছোঁয়ার আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। ম্যাচে বিব্রতকর এক রেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে গেছে তারা। বাংলাদেশের ছুড়ে দেওয়া ২৭৬ রানের জবাব দিতে নেমে ১২১ রানে (২৮.৫ ওভারে) অল আউট হয়েছে স্বাগতিক শিবির। বিপর্যস্ত এই হারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে।

মাইলফলকের ম্যাচে টেলর ব্যাট হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ৩১ বলে তিন চারে করেছেন ২৪ রান। তার এই সংগ্রহ-ই দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ! ৭৮ রানে জিম্বাবুয়ের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন টেলর। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের আউটে আরো বিপদে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক দলটি।

জয়ের পর বাংলাদেশ দল

বরং শেষ ১৬ রানে পাঁচ উইকেট খুইয়ে অল্পতে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। হারারেতে বাংলাদেশ জিতেছে ১৫৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। জিম্বাবুয়ে তো বটেই, ওয়ানডে সংস্করণে বিদেশের মাটিতে এটাই সবচেয়ে বড় জয় টাইগারদের। তিক্ত এই হারটা অবশ্য ভুলে যেতে চাইবেন টেলর। তার মাইলফলকের আনন্দ ছাপিয়ে গেছে বিষাদের হারে।

ম্যাচ শেষে ২০০তম ম্যাচ নিয়ে টেলর বলেছেন, ‘২০০তম ম্যাচের দিনটা আমি এ রকম চাইনি। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবু এই খেলাটিকে আমি ভালোবাসি। আমি এগিয়ে যেতে চাই। খারাপ সময় খেলারই অংশ। কঠিন সময়ে আরো শক্ত থাকা দরকার। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে। আশা করছি, পরের ম্যাচে আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’

২০০৪ সালের ৬ মে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের জার্সিতে খেলতে নামেন টেলর। টেস্ট অভিষেকের দেড় মাস পর ওয়ানডে যাত্রা শুরু করেন তিনি। দুই সংস্করণেই তার প্রতিপক্ষ ছিল শ্রীলঙ্কা। ২০০৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু করেন টেলর। এই সংস্করণে ৪৪ ম্যাচে পাঁচ হাফসেঞ্চুরিতে ৮৫৯ রান করেন তিনি।

ওয়ানডে-তে ১৯৯ ইনিংস ব্যাট করে টেলর পেয়েছেন ১১টি সেঞ্চুরি। হাফসেঞ্চুরি ৩৯টি। এই সংস্করণে ৬ হাজার ৫৫৪ রান করেছেন টেলর। আর ৩৪ টেস্টে ২ হাজার ৩২০ রান এসেছে অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। লাল বলের ক্রিকেটে ছয়টি শতক ও ১২টি অর্ধশতক আছে তার। টেলরের আগে ওয়ানডেতে দুশো ম্যাচ খেলেছেন তিন জিম্বাবুইয়ান। তারা হলেন- গ্র্যান্ট ফ্ল্যাওয়ার (২১৯), অ্যান্ডি ফ্ল্যাওয়ার (২১৩), এল্টন চিগুম্বুরা (২১০) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২০৯)।