ইংল্যান্ড-ইতালি ফাইনাল: চমকপ্রদ কিছু তথ্য
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ৫০ ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্ট পেয়েছে সেরা দুই দলকে। আজ রোমাঞ্চের ফাইনাল। লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন ইতালি। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় মাঠে গড়াবে শিরোপা লড়াই। ফাইনালের বাঁশির আগে একনজরে দেখে নেওয়া যাক দুই দলের রেকর্ড ও পরিসংখ্যানগুলো:
এ পর্যন্ত ২৭ বার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ড ও ইতালির। যেখানে ইতালি জিতেছে ১১টি ম্যাচে। ইংল্যান্ডের জয় আটটিতে। বাকি আটটি ম্যাচ ড্র হয়েছে। মুখোমুখি লড়াইয়ের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটি ড্র হয়েছে। বাকি দুটির একটি করে জিতেছে ইংল্যান্ড ও ইতালি। সর্বশেষ ১৪ বারের দেখায় ইতালিকে কেবল দুবার হারাতে পেরেছে। তাদের হার সাতটিতে। ড্র হয়েছে পাঁচটি।
ইউরোতে দুই দলের শেষবার দেখা হয়েছে ২০১২ সালে। যেখানে গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ইতালি।
দুই দলের কারোরই টাইব্রেকার ভাগ্য ভালো নয়। প্রতিযোগিতার মঞ্চে এ পর্যন্ত নয়টি টাইব্রেকারের ছয়টিতে হেরেছে ইংল্যান্ড। আর ১২ টাইব্রেকারের পাঁচটিতে জয় ইতালির।
মৌলিক টুর্নামেন্টে এটা ইতালির দশম ফাইনাল (বিশ্বকাপ ছয়টি, ইউরো চারটি)। তাদের চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল জার্মানির (১৪টি)।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে এটাই প্রথম ফাইনাল ইংল্যান্ডের। তবে মৌলিক টুর্নামেন্টের হিসেবে দ্বিতীয় ফাইনাল ব্রিটিশদের। সবশেষ ১৯৬৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছে তারা। ইউরোপিয়ান দলগুলোর মধ্যে দুই ফাইনালের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যবধান (৫৫ বছর)।
মেজর টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের কাছে কখনোই হারেনি ইতালি। প্রতিযোগিতার মঞ্চে চারবারের দেখায় তিনবার জিতেছে ইতালিয়ানরা। ড্র হওয়া ম্যাচটায় অবশ্য টাইব্রেকে ৪-২ গোলে জিতেছিল ইতালি।
সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে ইতালি। যা তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ম্যাচ অজেয় থাকার রেকর্ড। এ সময়ে ৮৬টি গোল করেছে ইতালিয়ানরা। বিপরীতে হজম করেছে ১০ গোল।
সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১২ ম্যাচ অপরাজিত আছে ইংল্যান্ড। অন্য ম্যাচটা ড্র করেছে তারা। সেটাও এবারের ইউরোরে গ্রুপপর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে শেষ ১৭ ম্যাচের ১৫টিতে জিতেছে ইংল্যান্ড। তারা হেরেছে এক ম্যাচে। অন্যটা ড্র হয়েছে। এ সময়ে ৪৬ গোল করেছে থ্রি লায়নরা। বিপরীতে তারা হজম করছে পাঁচ গোল।
এবারের ইউরোতে সবচেয়ে কম গোল হজম করেছে ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে ডেনমার্কের বিপক্ষে হওয়া গোলটাই ইংলিশদের একমাত্র হজম।
ইউরো টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক আসরে দুবার টাইব্রেকার জেতেনি কোনো দল। ইংল্যান্ড এখনো টাইব্রেকে যায়নি। তবে পেনাল্টি শ্যুট আউটে স্পেনকে বিদায় করে ফাইনালে উঠেছে ইতালি।
এবারের ইউরোতে ছয় মাচে ১২ গোল করেছে ইতালি। হজম করেছে দুটি (নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত)। ইংল্যান্ড ছয় ম্যাচে গোল করেছে ১০টি; হজম করেছে একটি।
১৩তম নতুন দল হিসেবে ইউরোর ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড (চেকোস্লোভাকিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্র মিলিয়ে একদল ধরা হয়েছে)। নতুন দল হিসেবে এ পর্যন্ত ফাইনালে হেরেছে তিনটি দল। যুগোস্লাভিয়া (১৯৬০), বেলজিয়াম (১৯৮০) ও পর্তুগাল (২০০৪)।
ইউরো দুবার রানার্সআপ হয়েছে ইতালি। ২০০০ সালে ফ্রান্স এবং ২০১২ সালে স্পেনের কাছে ফাইনালে হেরেছে তারা। তাদের চেয়ে বেশি রানার্সআপ হয়েছে কেবল জার্মানি (তিনবার)।
ইউরোর সবশেষ দুই ফাইনালে হেরেছে স্বাগতিক দল। পর্তুগাল ২০০৪ সালে এবং ফ্রান্স ২০১৬ সালের ফাইনালে হেরেছে। তবে মেজর টুর্নামেন্টে ১১তম স্বাগতিক হিসেবে ফাইনাল খেলবে ইংল্যান্ড। প্রথম আট ফাইনালের মধ্যে কেবল স্বাগতিক সুইডেনই ফাইনালে হেরেছে (১৯৫৮ বিশ্বকাপে; ব্রাজিলের বিপক্ষে)।
ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে মৌলিক টুর্নামেন্টের এটা তৃতীয় ফাইনাল। আগের দুই ফাইনালের একটিও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে শেষ হয়নি। ১৯৬৬ সালে প্রথম ফাইনালে জার্মানিকে হারায় ইংল্যান্ড এবং ১৯৯৬ সালে ইউরো ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রকে হারায় জার্মানি।
মেজর টুর্নামেন্টে ডেনমার্কের বিপক্ষে জয়টি ছিল ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে সাউথগেটের অষ্টম জয়। আজ জিতলে ইংলিশ কোচ ছাড়িয়ে যাবেন পূর্বসূরি আলফ র্যামসেকে।
এবারের ইউরোতে ম্যাচপ্রতি গোলমুখে সবচেয়ে কম শট নিয়েছে ইতালি (২.৩) ও ইংল্যান্ড (২.২)। বাকি ২২টি দলই দুই দলের চেয়ে ম্যাচপ্রতি বেশি লক্ষ্যে শট নিয়েছে।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ২৮ ম্যাচে ২৭টি গোলে অবদান রেখেছেন হ্যারি কেন (১৯ গোল ও ৯ অ্যাসিস্ট)। আর এক গোল করলে মেজর টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়বেন তিনি। আপাতত কেন ও গ্যারি লিনেকারের গোলসংখ্যা সমান ১০টি।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, অপ্টাজো, বিবিসি, এএফপি, উইকিপিডিয়া, ইংল্যান্ডফুটবলডটকম
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.