বার্সেলোনার স্বীকৃতি পেল ‘বাংলা বার্সা’

শুধু আন্তর্জাতিক ফুটবলই নয়, বরং ক্লাব ফুটবলের উন্মাদনাও যে বাংলাদেশে কতটা ‘ভয়ংকর’ তার জ্বলন্ত উদাহরণ কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের মধ্যকার অনুষ্টিতব্য ফাইনাল ম্যাচকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংঘর্ষ। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, স্প্যানিশ লা লিগা, সিরি আ কিংবা বুন্দেসলিগার সমর্থকে ভরে গেছে গোটা বাংলাদেশ।

বার্সেলোনার স্বীকৃতি পেল ‘বাংলা বার্সা’

এদেশের দর্শকরা তাদের প্রিয় ক্লাবের প্রতি সমর্থন জোগাতে বড় প্লাটফর্ম হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়েছেন। স্পেনিশ ক্লাব বার্সালোনার সমর্থক গোষ্ঠীর এমনই এক ফ্যান ক্লাবের নাম ‘পেনইয়া ব্লাউগ্রানা বাংলাবার্সা দে ঢাকা’। সম্প্রতি এই ফ্যান ক্লাবটি কাতালান ক্লাব বার্সেলোনার স্বীকৃতি লাভ করেছে।

জানা যায়, বিশ্বজুড়ে ১৯টি ‘পেনইয়া’কে এফসিবি ওয়ার্ল্ড পেনইয়েস ফেডারেশনের পক্ষ থেকে গত ৮ জুলাই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশের প্রথম কোনো ক্লাব হিসেবে ইতিহাস গড়ে ‘বাংলা বার্সা’। বাংলাদেশি ফ্যান ক্লাব হিসেবে বার্সেলোনার স্বীকৃতি পায় ক্লাবটি।

বার্সেলোনা লোগো

অবশ্য এই স্বীকৃতি প্রাপ্তির পেছনে রয়েছে বেশ লম্বা কাহিনী। ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলা বার্সার কুশীলবদের। ফ্যান ক্লাবটির যাত্রা ২০১৮ সাল থেকে শুরু হলেও এমন কিছু পাওয়ার স্বপ্ন আরো আগে থেকেই ছিল বলে জানা গেছে।

বাংলা বার্সার নির্বাহী কমিটির সদস্য মুদাসসির আরাফাত সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রায় এক দশকের দীর্ঘ একটি স্বপ্ন পেনইয়া ব্লাউগ্রানা বাংলা বার্সা দে ঢাকা। শুরুটা হয়েছিল সেই এফসি বার্সেলোনা লার্ভার্স ক্লাব নামের একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে।

তিনি আরো বলেন, আমরা সবাই আনন্দিত যে, বাংলাদেশের ফ্যান ক্লাব হিসেবে প্রথম বার্সেলোনার পেনইয়া হতে পেরেছি। শুধু আমাদের মধ্যেই এই উল্লাস থেমে নেই, বরং গোটা বার্সেলোনা কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বীকৃতি প্রাপ্তির জন্য বাংলা বার্সার সংশ্লিষ্টদের অনেক দৌঁড়ঝাপ করতে হয়েছে। ২০১২ সালে প্রথম এই পেনইয়ার ধারণা মাথায় আসে। তার পর থেকে নানাভাবে স্বীকৃতির জন্য বার্সেলোনার কাছে আবেদন জানান এর সঙ্গে জড়িতরা। বার বার ব্যর্থ হয়েছেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি মুদাসসির আরাফাতরা।

গ্রুপটির আরো বেশ কয়েক জন প্রধান সদস্য হলেন- কামরুল হাসান, রাশিক ইসলাম, মাসুদুল লাবিব, সোয়েলেম আফনান ইহাম, রাতুল কবির, এরফান আলী চৌধুরী, কাজি মাহবুব মুতাকাব্বির ও রিফাত আজিম সৌরভ প্রমুখ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে তারা বার্সেলোনার অনেক কূটনৈতিক দপ্তরে চেষ্টা চালিয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতায় অবশেষে তাদের স্বীকৃতি প্রাপ্তির দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো।