এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শুরু থেকেই বাজির দরে শীর্ষে ইংল্যান্ড। শক্তিশালী আক্রমণভাগ, মধ্যমাঠের নিয়ন্ত্রণ ও জমাটবাঁধা রক্ষণ ইংলিশদের অন্যদের চেয়ে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের ফসল হিসেবে ৫৫ বছর পর মৌলিক কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল হাতছানি দিচ্ছে থ্রি লায়নদের।

england will face denmark tonight 1

স্বপ্নের মঞ্চ থেকে মাত্র এক হাত দূরত্বে দাঁড়িয়ে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দূরত্বটা ঘোচাতে মরিয়া ইংল্যান্ড। ফাইনালে তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে রূপকথার ডেনমার্ক। বাংলাদেশ সময় রাত একটা অনুষ্ঠিত হবে চলমান টুর্নামেন্টের ৫০তম ম্যাচটি। ইংলিশদের জন্য অনুপ্রেরণা হচ্ছে- ম্যাচটা তারা খেলবে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।

আর ডেনমার্কের আছে অদৃশ্য এক শক্তি। এই দলটাতে না থেকেও আছেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। গেল ১২ জুন মাঠে আচমকা হ্যার্ট অ্যাটাক হয় তার। সেদিন ফিনল্যান্ডের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ডেনিসরা। এরিকসেন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু আর মাঠে ফিরতে পারেননি। দলের সেরা তারকাকে হারানোর ধাক্কাটা দ্বিতীয় ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ডেনমার্ক। শুরুতে এগিয়ে থেকেও বেলজিয়ামের কাছে হারতে হয় ২-১ গোলে।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে ডেনিসরা। অদৃশ্য এক শক্তি আর ভালোবাসার জোরে ২৯ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে ডেনমার্ক। সতীর্থকে হারানোর শোকটাকে শক্তিতে রূপান্তর করে ছুটছে ডেনিসদের স্বপ্নযাত্রা। আর দুটো ম্যাচ। জিতলেই ১৯৯২ সালের পর আবারো ইউরোর রুপালি ট্রফিটা ঘরে আসবে।

দল হিসেবে খেলা ডেনমার্ক ওই স্বপ্নেই কার্যত বুঁদ হয়ে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আসরে নিজেদের সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি তারা। কারণ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এসে ইংল্যান্ডকে হারানো কঠিন থেকে কঠিনতর। কিন্তু এই ডেনমার্ক অকুতোভয়। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে দলের সেরা তারকা এরিকসেনকে হারানোর পরও। স্বাভাবিকভাবেই রূপকথার ডেনিসদের সমীহ করছে ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড খুব সম্ভবত আসরের সবচেয়ে বড় পরীক্ষটা দিয়ে ফেলেছে নক আউট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই। ৫৫ বছর পর তারা ভেঙেছে জার্মানির দেয়াল। কোয়ার্টার ফাইনালে তো ইউক্রেনকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছেন হ্যারি কেন, রহিম স্টার্লিংরা। ইংলিশদের সামনে এখন প্রথমবারের মতো ইউরোর ফাইনালে ওঠার সুযোগ।

থ্রি লায়ানদের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে নিজেদের মাঠ ও দর্শকদের সামনে খেলতে পারাটা। আজকের এই ম্যাচটির জন্য ৬০ হাজার টিকিট ছেড়েছে ইংলিশরা। বলা বাহুল্য, গ্যালারিতে ডেনমার্ক সমর্থকদের জায়গা হবে খুব কমই। প্রতিপক্ষের বিশাল এই জনসমর্থনই ডেনিসদের দুশ্চিন্তার কারণ। ইংলিশরা তাই ইতিহাস গড়তে মরিয়া। ১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর আর কোনো সাফল্য নেই তাদের।

গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ড। এবার নিজেদের মাটিতে বহু অরাধ্যের ধন ইউরো জয়ের স্বপ্ন দেখছে তারা। খুব করেই চাইছে ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি হতে। ২৫ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে ওঠা ইংলিশদের আরেকটা শক্তি হচ্ছে রক্ষণভাগ। আসরে একমাত্র দল হিসেবে ইংল্যান্ডই এখন পর্যন্ত কোনো গোল হজম করেনি।

ডেনমার্ক পারবে তো দুর্ভেদ্য এই দেয়াল ভাঙতে? উত্তরটা মিলবে আজ রাতেই। ইংল্যান্ড আজকের ম্যাচে ফেভারিট; কিন্তু অনিশ্চয়তার ফুটবলে কখন যে কী ঘটে যায় তা বলা মুশকিল!

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.