ফের নায়ক সেই পাকুয়েটা, ফাইনালে ব্রাজিল

শেষ আটের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। সেদিন জয়সূচক একমাত্র গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েটা। পেরুর বিপক্ষেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। জালের দেখা পেলেন ফরাসি লিগ ওয়ানের ক্লাব লিওর এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।

পেরুকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিল

চলমান কোপা আমেরিকার প্রথম সেমিফাইনালে আজ পেরুর মুখোমুখি হয়ে ব্রাজিল। রিও ডি জেনেইরোর অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সে ম্যাচে ১-০ ব্যবধানের জয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইয়োলো জার্সিধারীরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই পেরুর ওপর প্রভাব বিস্তার করে খেলে ব্রাজিল। ৫৬ শতাংশ বল নিজেদের দখলে নিয়ে গোলমুখে ১৫টি শট নেয়। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৮টি। তবে পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গেলিসের দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোয় একাধিকবার হতাশ হতে হয় স্বাগতিকদের।

অষ্টম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাজিল। রিশার্লিশনের ক্রস পেয়ে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দেন নেইমার। ১৩ মিনিটের মাথায় ফ্রি-কিক থেকে ক্যাসেমিরোর জোরালো শট সোজা চলে যায় গেলিসের হাতে। তার দুই মিনিট পর এভারটনের শট ঠেকিয়ে দেন গেলিসে।

ছয় মিনিট পর ফের পেরুর ত্রাতা গেলিসে। প্রতিহত করেন নেইমারের শট। ২৫ মিনিটে লিড নেওয়ার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করে ব্রাজিল। লং বলে তাদের একটা আক্রমণ রুখতে গোলপোস্ট ছেড়ে অনেকটা বক্সের মুখে চলে আসেন গেলিসে। সেখান থেকে মাঝে ক্রস করেন এভারটন। তখনও গোলমুখে ফেরেননি গেলিসে। তার অনুপস্থিতিতে ব্রাজিলের দুটো শট দারুণভাবে রুখে দেয় পেরুর রক্ষণ।

অবশেষে ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে জালে বল জড়ান পাকুয়েটা। শেষ আটের ম্যাচে চিলির বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। ম্যানচেস্টার সিটির ফরোয়ার্ডের পরিবর্তে পাকুয়েটার ওপর ভরসা রেখেছিল তিতে। এবার তার আস্থা দিলেন ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার। বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি ব্রাজিল।