একজন এরিকসেন ও ডেনমার্কের রূপকথা
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত নজরকাড়া ফুটবল উপহার দিয়েছে ডেনমার্ক। ক্রমাগতভাবে দলটা হয়ে উঠেছে ভয়ঙ্কর। অদৃশ্য এক শক্তি আর ভালোবাসার জোরে ছুটছে ডেনিসদের স্বপ্নযাত্রা। তারা আদায় করে সমীহ। শনিবার চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২৯ বছর পর উঠেছে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে। অথচ ডেনমার্কের স্বপ্নযাত্রা চলছে সেরা তারকা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনকে ছাড়াই!
এক হিসেবে কথাটা ভুল। না থেকেও ডেনমার্ক দলে আছেন এরিকসেন। দলটির অধিনায়ক ও কোচ অন্তত এমনটাই দাবি করলেন। তা দাবি করতেই পারেন। এক এরিকসেনের অনুপ্রেরণাতেই তো রূপকথার মতো বদলে গেল ডেনমার্ক। চলমান ইউরোতে গ্রুপপর্বের শুরুর দুই ম্যাচ হেরেও তারা উঠেছে নক আউট পর্বে। মাত্র তিন পয়েন্ট নিয়েই গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে ডেনিসরা।
ডেনমার্ক হোঁচট খেয়েছে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই। প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের শিকার হয় তারা। হেরে যায় ১-০ গোলে। অথচ দারুণ খেলতে থাকা ডেনিসরা ধাক্কা খায় বিরতির কয়েক মিনিট আগে। আচমকা মাটিতে পরে যান দলের সেরা ফুটবলার এরিকসেন। মাঠেই হার্ট অ্যাটাক হয় ইন্টার মিলান ফরওয়ার্ডের। বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এরিকসেনকে বাঁচাতে প্রার্থনা শুরু হয় বিশ্বজুড়ে।
বন্ধু ও সতীর্থকে হারানোর ধঁকলটা দ্বিতীয় ম্যাচেও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ডেনমার্ক। তবে বেলজিয়ামের জালে ম্যাচের শুরুতে বল জড়িয়ে ফেরার আভাস দেয় তারা। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে বেলজিয়ানরা দারুণ এক প্রত্যাবর্তন করলে পয়েন্টবঞ্চিত হয় ডেনমার্ক। দুই ম্যাচ হেরে যাওয়া ডেনিসদের বিদায়ের ক্ষণ গুণতে শুরু করে দিয়েছিলেন অনেকেই।
কিন্তু হারার আগে হারল না তারা। শেষ ম্যাচে রাশিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে নক আউট পর্বে চলে যায় ডেনমার্ক। ছয় গ্রুপের যে ছয়টি দল রানার্সআপ হয়েছে তাদের মধ্যে ডেনিসদের পয়েন্টই ছিল সবচেয়ে কম। অথচ তাদের সমান তিন পয়েন্ট নিয়েই কয়েকটা দল টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে গেছে। বেশি গোল টিকিয়ে রেখেছে তাদের।
শেষ ষোলোতে আরো বিধ্বংসী ডেনমার্ক। ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে গ্যারেথ বেলের ওয়েলসকে। ডেনিসদের স্বপ্নযাত্রা আরো ছুটল কাল রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে। ফাইনালের মঞ্চ থেকে আর এক হাত দূরে আছে তারা। বাধাটা কঠিন। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আসরের ফেভারিট ইংল্যান্ড।
ম্যাচটাও তাদের খেলতে হবে ইংলিশদের দুর্গ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে। ওই ম্যাচে জিততে না পারলেও এই স্বপ্নযাত্রার জন্য চাইলে গর্ব করতে পারে ডেনমার্ক। কিন্তু না, শুধু সেমিফাইনালেই তৃপ্ত হতে পারছে না তারা। স্বপ্ন দেখছে শিরোপার। তাদের এই রূপকথার যাত্রার অন্যতম সারথি এরিকসেন। যিনি না থেকেও আছেন।
এরিকসেনের জন্যই এখন ইউরো বিশ্বকাপ জিততে চায় দলটি। শেষ আটে চেকদের হারানোর পর ডেনমার্কের প্রধান কোচ ক্যাসপার জুলমান্ড যথার্থই বললেন, ‘আমি অবশ্যই (এরিকসেন সঙ্গে আছেন) এটা অনুভব করি। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনের পর থেকেই ফুটবল বিশ্ব এটা বুঝতে পেরেছে। আমি প্রতিদিন ক্রিশ্চিয়ানের (এরিকসেন) কথা চিন্তা করি। ওর এখানেই থাকা উচিত।’
ডেনিস কোচ যোগ করেন, ‘আমরা খুব খুশি যে ও বেঁচে আছে। আমরা ওকে নিয়েই প্রতিটা ম্যাচ খেলছি। এভাবেই ওয়েম্বলিতে যেতে চাই। আমি সবসময় ওর কথা ভাবি। দলের প্রতিক্রিয়া অবিশ্বাস্য। প্রত্যেকে একে অন্যের প্রতি কী সহমর্মিতা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছে। ডেনিস জনগণও। আমরা খুশি; আমরা গর্বিত। আমরা মনে করিয়ে দিয়েছি আমরা কেন ফুটবল ভালোবাসি। ফুটবল বিশ্বে কী করতে পারে তা দেখিয়েছে।’
ডেনিস অধিনায়ক সিমন কেজায়ের অবশ্য আরো দেখিয়ে দিতে চান। চেক ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের নিশ্চিন্ত করেছে এবং অবশ্যই এটা দেখতে ক্রিশ্চিয়ানের ভালো লাগছে। আমরা এগিয়ে যেতে পারছি কারণ আমাদের পেছনে আরেকজন খেলোয়াড় আছেন। আমরা এখন ওয়েম্বলিতে (ফাইনালে) যেতে চাই। শিরোপা জিততে চাই। যদিও চার দিনের মধ্যে আমাদের আরেকটা ম্যাচ আছে।’
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.