২৫ বছর পর ইউক্রেনকে উড়িয়ে সেমিতে ইংল্যান্ড

গ্রুপপর্বের ম্যাচে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন। তিন ম্যাচে গোল পাননি একটিও। তবু অধিনায়ক হ্যারি কেনের ওপর আস্থা রেখেছেন ইংল্যান্ড প্রধান কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সেটারই প্রতিদান দিচ্ছেন টটেনহাম হটস্পার স্ট্রাইকার। গুরুত্বপূর্ণ সময়েই জ্বলে উঠেছেন দলের সেরা তারকা। শেষ ষোলোতে জার্মানির বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে করেছেন স্বস্তির গোল।

শনিবার নক আউট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে আরো দুর্দান্ত কেন। রোমে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে করলেন জোড়া গোল। তার দুই গোলের ওপর দাঁড়িয়ে ইউক্রেনকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড। আসরে প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে খেলতে গিয়ে ইংলিশরা জিতেছে ৪-০ গোলে। দাপুটে এই জয়ে ২৫ বছর পর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ইংল্যান্ড।

চলমান আসরে এটাই ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য সেরা পারফরম্যান্স। ম্যাচের আগা-গোড়া নিখুঁত পারফরম্যান্স করেছে থ্রি লায়নরা। রক্ষণ, মধ্যমাঠ কিংবা আক্রমণ- সবখানেই একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে ইংলিশরা। শেষ বাঁশি বাজতেই যেন হাফ ছেড়ে বেঁচেছে ইউক্রেন। কেন-স্টার্লিংরা যেভাবে মুহুর্মুহু আক্রমণ করছিলেন! ইউক্রেন গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে ভালোই তোপ গেল।

ম্যাচের দুই অর্ধে গোল দুটি করেছেন কেন। বাকি গোল দুটো হ্যারি ম্যাগুইরে ও জর্ডার হ্যান্ডারসনের। লুক শ কোনো গোল পাননি। দলের বড় জয়ে নেপথ্য নায়ক হিসেবে কাজ করে গেলেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দুটো গোলেই অবদান রেখেছেন এই মিডফিল্ডার। জার্মানির বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচেও একটি গোলের উৎস ছিলেন শ। সবমিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে চারটি অ্যাসিস্ট করলেন তিনি।

চার মিনিটে শুরু হওয়া ইংল্যান্ডের উদযাপন থামে ৬৩ মিনিটে। কেনের গোলে শুরু, হ্যান্ডারসনের লক্ষ্যভেদে শেষ। প্রথমার্ধে এক গোল করা ইংলিশরা দ্বিতীয়ার্ধের ১৮ মিনিটের মধ্যে করেছে আরো তিনটি। এদিন অবশ্য গোল পাননি ফর্মের তুঙ্গে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি ফরওয়ার্ড রহিম স্টার্লিং। তবে দলের প্রথম গোলে পরোক্ষ অবদান ছিল তারই।

ইউক্রেনের বিপক্ষে এই জয়ে স্বপ্নের প্রথম ইউরোর শিরোপা জয়ের পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। আগামী বুধবার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। যারা কিনা শেষ আটের আগের ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। ডেনিস ম্যাচে ইংলিশদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা হচ্ছে- সেমিফাইনাল ম্যাচটা তারা খেলবে ঘরের মাঠ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে।