বেলজিয়াম-ইতালির অগ্নিপরীক্ষা
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
শেষ কবে ইতালি হেরেছে এটা বোধহয় ভক্তরাও ভুলতে বসেছেন। হ্যাঁ, চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও ইউরোর সাবেক চ্যাম্পিয়নরা এমনই ফর্মে আছে। সেই দলটাকে আজ অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশ সময় রাত একটায় জার্মানির মিউনিখে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত চার ম্যাচের সবকটি ম্যাচেই জিতেছে কেবল ইতালি ও বেলজিয়াম। বাকিদের কেউ অবশ্য জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারেনি। আজ যে কোনো একদলের রথযাত্রা শেষ হয়ে যাবে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসর থেকে বিদায় নেবে এক দল। কিন্তু সেই দল কোনটা; ইতালি নাকি বেলজিয়াম? উত্তরটা তোলা থাকল আজ রাতের জন্য।
চলমান টুর্নামেন্টে এখন অবধি বড় কোনো প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলেনি ইতালি। এটাই আজ্জুরিদের মূল সমস্যা। সেই হিসেবে আজকের ম্যাচটাকে ইতালিয়ানদের শক্তিমত্তা যাচাইয়ের প্রেক্ষাপট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই ম্যাচের আগে ইতালিয়ানদের স্বস্তি দিতে পারে একটা তথ্য- বেলজিয়ামের দুই মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনে ও ইডেন হ্যাজার্ড এখনো চোটের সঙ্গে লড়ছেন।
দুজনই প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত এই যুগল খেলতে না পারলে সেটা হবে বেলজিয়ামের জন্য বিরাট একটা ধাক্কা। ইতালির বিপক্ষে আজকের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটা তাদের জন্যও অগ্নিপরীক্ষার উপলক্ষ্য। তবে আশার কথা হচ্ছে, ডিফেন্ডার তিমথি ক্যাস্টাগনে পুরোপুরি ফিট হয়ে উঠেছেন।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে ফিরতে পারেন ইতালির প্রধান রক্ষণপ্রহরী জর্জিও কিয়েলিনি। তাকে ছাড়াই অবশ্য আগের দুটি ম্যাচে জিতেছে ইতালিয়ানরা। চোটের ধকল কাটিয়ে উঠেছেন আরেক ডিফেন্ডার আলেসান্দ্রো ফ্লোরেঞ্জি। দুজনই কাল অনুশীলনে ফিরেছেন। আজকের ম্যাচে লড়াইটা মূলত ইতালিয়ান ডিফেন্ডারদের সঙ্গে বেলজিয়ান ফরওয়ার্ডদের।
ম্যাচ ফ্যাক্টস
মৌলিক কোনো টুর্নামেন্টে বেলজিয়ামের কাছে কখনো হারেনি ইতালি। চারবারের দেখায় তিনটিতে জিতেছে তারা। অন্যটা ড্র হয়েছে। তবে এই প্রথম নক আউট পর্বে মুখোমুখি দল দুটি। সবশেষ ২০১৬ ইউরোতে ইতালির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বেলজিয়াম।
গত আসরের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বেলজিয়াম। গ্যারেথ বেলের ওয়েলসের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে তারা।
সবশেষ ১৩ ম্যাচের ১১টিতেই জিতেছে বেলজিয়াম। ম্যাচগুলোতে ৩২ গোল করার পাশাপাশি বেলজিয়ানরা হজম করেছে আটটি। শেষ ২৭ ম্যাচের মাত্র একটিতে হেরেছে বেলজিয়াম (জয় ২৩টি)।
বেলজিয়াম শেষবার হেরেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে, উয়েফা নেশনস লিগের ম্যাচে। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে ২-১ গোলে তারা।
সবশেষ ৩৪টি ম্যাচেই গোল করেছে বেলজিয়াম। সবশেষ ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করতে ব্যর্থ হয় বেলজিয়ানরা। ম্যাচটা তারা হেরেছিল ১-০ গোলে।
২০১৬ সালে বেলজিয়ামের দায়িত্ব নেন রবার্তো মার্টিনেজ। তার অধীনে ৪৭টি ম্যাচ জিতেছে বেলজিয়ানরা। গোল করেছে ১৭৫টি, যা ইউরোপিয়ান দলগুলোর মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি জয় ও গোলের নজির।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ইতালি। প্রতিবারই শেষ আটে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছে। ২০০৮ সালে স্পেন, ২০১২ সালে ইংল্যান্ড এবং ২০১৬ সালে জার্মানির কাছে ভাগ্য নির্ধারণীর খেলায় হেরেছে ইতালিয়ানরা।
টানা ১২ ম্যাচ ধরে জিতে চলেছে ইতালি, যা তাদের জাতীয় দলের নতুন রেকর্ড। এ সময়ে ৩৪টি গোল করেছে তারা। হজম করেছে একটি। সেটাও এবারের শেষ ষোলোর ম্যাচে। টানা ১৯ ঘণ্টা ও ২৮ মিনিট অক্ষত থাকার পর অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে গোল খেয়েছে ইতালি।
টানা ৩১ ম্যাচ ধরে অপরাজিত আছে ইতালি (জয় ২৬টি)। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার হেরেছে তারা। উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচটিতে পর্তুগালের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইতালিয়ানরা।
ইউরো টুর্নামেন্টে মাত্তেও পেসিনার প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে টানা তিন ম্যাচে গোলের রেকর্ড গড়ার সুযোগ আছে আজ।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.