নড়বড়ে চিলি সতর্ক ব্রাজিল

এক শ বছরের স্বপ্নপূরণ করেছিল চিলি। আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দলটি জেতে বহু অরাধ্যের ধন কোপা আমেরিকা। টাইব্রেকারে লিওনেল মেসিদের কাঁদিয়ে স্বপ্নপূরণ করে চিলিয়ানরা। পরপর দুই আসরে ফাইনালে একই ছবি দেখেছে ফুটবল দুনিয়া। গত আসরে অবশ্য হ্যাটট্রিক হয়নি চিলির। ফাইনালে পেরুকে হারিয়ে রাজত্ব উদ্ধার করে ব্রাজিল।

এবার ঘরের মাঠে চলমান কোপা আমেরিকাতেও হট ফেভারিট তারা। দলটি খেলছে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। এ যাত্রায় কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী চিলিকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে সেলেকাওরা। যে দলটাতে আছেন পরপর দুবার কোপার শিরোপাজয়ী কয়েকজন খেলোয়াড়। তাদের নিয়ে বেশ সতর্ক পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।

চিলির সবচেয়ে বড় শক্তি অধিনায়ক ও গোলরক্ষক ক্লাউদিও ব্রাভো। আছেন আর্তুরো ভিদাল, এদোয়ার্দো ভার্গাসের মতো অভিজ্ঞ ফুটবলাররা। তাদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয় চিলি। স্বপ্নের তৃতীয় শিরোপা জয়ে এবার ওইসব তারকা ফুটবলারের ওপর ভরসা রাখছেন চিলিয়ানরা।

আগামী শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টা ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। লড়াইয়ের মঞ্চ রিও ডি জেনিইরোর সান্টোস স্টেডিয়াম। এই ম্যাচটা চিলি খেলবে ‘এ’ গ্রুপের চতুর্থ সেরা দল হিসেবে। আর ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এসেছে ব্রাজিল। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে দুই দলের পারফরম্যান্স দুই মেরুতে হলেও ম্যাচটাতে জমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ কারণেই শিষ্যদের সতর্ক করে দিলেন ব্রাজিলের সহকারী কোচ সিজার সাম্পাইয়ো। মঙ্গলবার তিনি বলেছেন, ‘গত তিন আসরের দুটিতে কোপা আমেরিকা জিতেছে চিলি। ক্লাওদিও ব্রাভো, মিনা, ভিদাল, ভার্গাসদের নিয়ে ওদের দলটা বেশ শক্তিশালী। চিলির সাম্প্রতিক আসরের সাফল্যের বড় অংশ ছিল তারাই। ওরা জানে কীভাবে চাপ সামলাতে হয়।’

সেটা বুঝেই ব্রাজিলের প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানালেন টিটের সহকারী কোচ, ‘চিলি যে কোনো কন্ডিশনে খেলে অভ্যস্ত। ভিদালদের নিয়ে ওদের মধ্যমাঠ বেশ কার্যকর। ভার্গাস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করার সামর্থ্য রাখেন। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওদের সমীহ করতে হবে। আমাদের হতে হবে কৌশলী। নিতে হবে সম্ভাব্য সেরা প্রস্তুতি। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে আমাদের আত্মবিশ্বাস ঊর্ধ্বমুখী রাখতে হবে।’

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের জন্য গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দলের বেশ কয়েকজন তারকা খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিল ব্রাজিল। যার খেসারত তাদের দিতে হয়েছে দুই পয়েন্ট খুইয়ে। সেলেকাওদের ১-১ গোলে রুখে দিয়ে এ যাত্রায় টিকে যায় ইকুয়েডর। চার ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়ে শেষ আটে উঠেছে তারাও। সেই ম্যাচের হতাশা ভুলে চিলি ম্যাচে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে মাঠে নামবে ব্রাজিল।