ম্যানইউকে ডর্টমুন্ডের ‘না’

হীরা চিনতে জহুরি চোখ লাগে। হয়তো সেখানেই ঘাটতি ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। তাই ২০১৭ সালে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে জ্যাডন স্যানচোকে বিক্রি করে দেয় সিটিজেনরা। সেই উঠতি ফুটবলারই এখন ইউরোপের ‘বিস্ময় বালক’। আগুন ঝরাচ্ছেন জার্মান ফুটবলে। ঝড় তুলছেন ক্লাব ফুটবলেও। নতুন করে নজরে এসেছেন সবার।

জ্যাডন স্যানচো

তাকে ম্যানচেস্টারে ফেরাতে এখন জোর চেষ্টা চলছে। তবে ম্যানচেস্টার সিটি নয়, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্যানচোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। ইংলিশ এই ফরওয়ার্ডের জন্য ইতোমধ্যে ডর্টমুন্ডকে ৬৭ মিলিয়ন পাউন্ডের প্রস্তাব পাঠিয়েছে রেড ডেভিলসরা। কিন্তু ইউনাইটেডের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে জার্মান ক্লাবটি।

বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাতে খবরটি নিশ্চিত করেছে বিশ্বের প্রায় সব প্রচারমাধ্যম। প্রতিবেদনে তারা জানায়, ম্যানইউর কাছে আরো দাবি করছে ডর্টমুন্ড। ৭৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড পেলেই ২১ বছর বয়সী ফরওয়ার্ডকে ছেড়ে দেবে তারা। সঙ্গে ৪.২৫ মিলিয়ন পাউন্ড বোনাসও দিতে হবে। ম্যানচেস্টার জায়ান্টরা ডর্টমুন্ডের পাল্টা প্রস্তাবে রাজি হয় কিনা সেটাই দেখার।

শুধু চুক্তির অংকে নয়, চুক্তির সময়সীমা নিয়েও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ম্যানইউ চায় পাঁচ বছরের চুক্তি করতে। ডর্টমুন্ডের চাওয়া চার বছরের। ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যম বিবিসির ধারণা, দুই ক্লাবের দাবির মধ্যে বিস্তর কোনো ব্যবধান নেই। তাই ডর্টমুন্ডের পাল্টা প্রস্তাবে রাজি হতে পারে রেড ডেভিলসরা।

এক বছর আগেও অবশ্য ডর্টমুন্ডের কাছ থেকে স্যানচোকে কিনে নিতে চেয়েছিল ইংলিশ জায়ান্টরা। কিন্তু তখনও দুই ক্লাবের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব মেলেনি। তাই সিগনাল ইদুনা পার্কে থেকে যান স্যানচো। সদ্য সমাপ্ত ক্লাব মৌসুমে এই ফরওয়ার্ড প্রত্যাশার চেয়ে বেশি পারফর্ম করেছেন। ডর্টমুন্ডও সুযোগ বুঝে বাড়তি দাম হাঁকিয়ে বসেছে তরুণ তুর্কির জন্য।