ইউরো ২০২০: তুর্কিদের সুদিন ফেরানোর চ্যালেঞ্জ

ইউরো ২০২০ বাছাইপর্বে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তুরস্ক। তাদের সবচেয়ে বড় শক্তি তরুণ ফুটবলাররা এবং রক্ষণবিভাগ। বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচে মাত্র তিনটিতে গোল হজম করেছে তুর্কিরা। তাদের রক্ষণ কতটা শক্তিশালী তা বোঝাতে এই তথ্যটুকুই যথেষ্ঠ। বাছাপর্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে চমকে দেয় দলটি।

গেল মার্চে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরেক চমক। নেদারল্যান্ডসকে তুরস্ক হারায় ৪-২ গোলে। এরপর আর্লিং হাল্যান্ডের নরওয়েকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা। তিনটি জয়ই বলে দিচ্ছে আক্রমণভাগেও যথেষ্ঠ শক্তি আছে তুর্কিদের। সবশেষ ২০০৮ ইউরোতে চমক দেখিয়েছে তুরস্ক। ওই আসরের সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। এবারের আসর তাদের জন্য সুদিন ফেরানোর চ্যালেঞ্জ।

প্রধান কোচ: সেনোল গানেস: তুরস্কর ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে সফল গোলরক্ষক গানেস। দলটির কোচ হিসেবেও তিনিই সবচেয়ে সফল। ২০০২ বিশ্বকাপে ‍তুর্কিরা সেমিফাইনালে উঠেছিল তার অধীনেই। ২০১৯ সালে বেসিক্টাসকে গানেস জিতিয়েছেন ব্যাক টু ব্যাক তুর্কি লিগ। ৬৯ বছর বয়সী কোচকে নিয়ে একটু সমালোচনা আছে। অভিজ্ঞদের ঝেরে ফেলেন তিনি। শূন্যস্থানে তরুণ খেলোয়াড়দের খেলাতে পছন্দ করেন গানেস।

প্লেয়ার ফ্যাক্টস: বুরাক ইলমাজ: বয়স কেবল একটা সংখ্যা এই উদহারণটা বুরাক ইলমাজকে দিয়েও চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। ৩৫ বছর বয়সেও কী দুদান্ত তিনি! তুরস্ক দলের অধিনায়ক ইলমাজ। নিজে পারফর্ম করার পাশাপাশি সতীর্থদের অনুপ্রেরণা দিতে তার জুরি নেই।

তবে তুরস্কের দর্শকদের কাছে তিনি নিন্দিত এবং নন্দিত দুটোই। গত মৌসুমে সব সমালোচকদের জবাব দিয়েছেন ইলমাজ। লিলেঁর ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ান জয়ে তার অবদান বেশ কার্যকর ছিল। ইলমাজের হ্যাটট্রিকের ওপর দাঁড়িয়ে গেল মার্চে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়েছিল তুরস্ক।

তরুণ তুর্কি: ওজান কাবাক: ইংল্যান্ডের তারকা ফরওয়ার্ড জ্যাডন স্যানচো এবং ওজান কাবাকের জন্ম একই দিনে। জার্মান বুন্দেসলিগায় স্টুটগার্টের হয়ে আলো ছড়িয়ে শালকে জিরো ফোরে নাম লেখান তিনি। গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে ধারে খেলেছেন ২১ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার। এবারের ইউরোতে তুরস্কের রক্ষণের জোয়াল থাকছে তার কাঁধেই।

গ্রুপপর্ব: সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় ইউরোর এই আসরে অন্তত প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা উচিত তুরস্কের। এ জন্য গ্রুপপর্বে পরীক্ষা দিতে হবে। তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ইতালি। মাঝারি শক্তির দল সুইজারল্যান্ডকেও খেলতে হবে তুর্কিদের। গ্রুপে তাদের আরেক প্রতিপক্ষ গ্যারেথ বেলের ওয়েলস।

সর্বোচ্চ সাফল্য: সেমিফাইনাল (২০০৮)

ফিফা র‌্যাঙ্কিং: ২৯

সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: গোলরক্ষক: মার্ট গুনোক; ডিফেন্ডার: জেকি সেলিক, ওজান কাবাক, মেরিহ ডেমিরাল, উমুত মেরাস; মিডফিল্ডার: কেনান কারামান, ওজান ‍তুফান, ওকে ইউসুকলু, হাকান চালহানোগলু; ফরওয়ার্ড: ইউসুফ ইয়াজিচি, বুরাক ইলমাজ

তুরস্কের ম্যাচসূচি:

১১ জুন: ইতালি-তুরস্ক (অলিম্পিকো স্টেডিয়াম; রোম)

১৬ জুন: তুরস্ক-ওয়েলস (অলিম্পিক স্টেডিয়াম; বাকু)

২০ জুন: তুরস্ক-সুইজারল্যান্ড (অলিম্পিক স্টেডিয়াম; বাকু)