ইউরো ২০২০: বদলে গেছে ইতালি, আছে তুরুপের তাস
- Details
- by খেলাধুলা ডেস্ক
২০১৮ বিশ্বকাপের টিকিট পায়নি চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি। এবারের ইউরো টুর্নামেন্ট তাদের জন্য নিজেদের ঐতিহ্য ফেরানোর চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের প্রস্তুতি ভালোভাবেই নিয়েছে আজ্জুরিরা। বাছাইপর্বের ১০ ম্যাচের সবকটিতেই জয়ের নিশ্ছিদ্র পথে হেঁটেছেন কিয়েলিনি অ্যান্ড কোং।
বিশ্বকাপের টিকিট না পাওয়ার শোকটা পরবর্তীতে শক্তিতে রূপান্তর করেছে ইতালি। ২০১৮ অক্টোবরের পর থেকে আর হারেনি তারা। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৭ ম্যাচ অপরাজিত আছে দলটি। মূলত নতুন কোচ রবার্তো মানচিনির ছোঁয়াতেই বদলে গেছে ইতালি।
প্রায় দুই বছরে ৬৪ জন ফুটবলারকে ব্যবহার করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি ইন্টার মিলানের সাবেক কোচ। তন্মধ্যে ৩৪ জনকে করিয়েছেন অভিষেক। সবমিলিয়ে এই টুর্নামেন্টের ফেভারিট তারা। অনুনমেয় ইতালির অস্বস্তি একটাই, ইনজুরিতে ভুগছেন দলটির তারকা মিডফিল্ডার নিকোলো জ্যানিওলো।
প্রধান কোচ: রবার্তো মানচিনি: ইতালির কোচ হওয়ার স্বপ্ন মানচিনির অনেক দিনের। ক্লাব ফুটবলের আর্থিক ঝনঝনানির তোয়াক্কা না করে স্বপ্নপূরণ করেন ইতালিয়ান এই কোচ। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের দায়িত্ব ছেড়ে ইতালির ডাগ আউটে দাঁড়ান তিনি। তার অধীনে দুর্দান্ত পারফর্ম করে চলেছে আজ্জুরিরা।
ইউরোতে ইতালির বড় শক্তি অভিজ্ঞ এই কোচ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে কোচিং করানোর আগে ম্যানচেস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং ইন্টার মিলানকে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ জিতিয়েছেন মানচিনি। খেলোয়াড় ভূমিকায় ১৯৮৮ ইউরোতে স্বর্ণপদক হাতছাড়া করেছিলেন তিনি। এবার কোচ হিসেবে সেই আক্ষেপ দূর করার স্বপ্ন দেখছেন এই ইতালিয়ান।
প্লেয়ার ফ্যাক্টস: লরেঞ্জো ইনসিগনে: ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ ম্যাচে সুইডেনের কাছে হেরে যায় ইতালি। সেই ম্যাচে লরেঞ্জো ইনসিগনেকে মাঠে নামাননি তৎকালীন কোচ জিয়ান পিয়েরো ভেঞ্চুরা। উপেক্ষিত সেই ফরওয়ার্ড ৩০ বছর বয়সে এসে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
সদ্য সমাপ্ত ইতালিয়ান লিগ মৌসুমে নাপোলির জার্সিতে আগুন ঝরিয়েছেন তিনি। মৌসুমে ১৯টি গোল করেছেন ইনসিগনে। এ ছাড়া সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো কয়েকটি। এবারের ইউরোতে মানচিনির তুরুপের তাস হতে পারেন এই ফুটবলার। এ ছাড়া দলে আছেন চিয়েসো, ভেরাত্তি, ইম্মোবিলের মতো তারকা ফুটবলাররা।
তরুণ তুর্কি: অ্যালেসান্দ্রো বাস্তোনি: মানচিনির দলে সর্বকনিষ্ঠ দ্বিতীয় ফুটবলার বাস্তোনি। ২২ বছর বয়সী এই তরুণ তুর্কি রক্ষণভাগে শক্ত প্রাচীর গড়ে তুলতে সক্ষম। তাকে নতুন লিওনার্দো বনুচ্চি হিসেবেও আখ্যা দিয়ে থাকেন কেউ কেউ। এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা সেন্টার-ব্যাকদের একজন তিনি। ইন্টার মিলানের সদ্য বিদায়ী মৌসুমে সিরি’এ লিগ জয়ে বাস্তোনির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
গ্রুপপর্ব: ইতালির গ্রুপটা কঠিন নয়। আবার সহজও নয়। ‘এ’ গ্রুপে তাদের তিন প্রতিপক্ষ তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড ও ওয়েলস। প্রথম দলটি সাম্প্রতিক বছরে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। কার্যত সুদিন ফেরাতে লড়ছে তুর্কিরা। সুইজারল্যান্ড শিরোপা জয়ে ফেভারিট না হলেও ভেঙে দিতে পারে ইতালির স্বপ্ন। ওয়েলসকেও হালকা করে দেখলে চলবে না। কারণ এই দলটাতে আছেন ‘হান্ড্রেড মিলিয়নম্যান’ খ্যাত গ্যারেথ বেল। ইতালির জন্য বাড়তি প্রেরণা- গ্রুপপর্বের তিনটি ম্যাচই তারা খেলবে ঘরের মাঠ রোমের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।
সর্বোচ্চ সাফল্য: চ্যাম্পিয়ন (১৯৬৮)
ফিফা র্যাঙ্কিং: ৭
সম্ভাব্য শুরুর একাদশ: গোলরক্ষক: ডোনারুমা; ডিফেন্ডার: ফ্লোরেঞ্জি, অ্যাসার্বি, বাস্তোনি, এমারসন; মিডফিল্ডার: জর্জিনহো, ভেরাত্তি, বারেল্লা; ফরওয়ার্ড: চিয়েসা, ইম্মোবিলে, ইনসিগনে
ইতালির ম্যাচসূচি:
১১ জুন: ইতালি-তুরস্ক (অলিম্পিকো; রোম)
১৬ জুন: ইতালি-সুইজারল্যান্ড (অলিম্পিকো; রোম)
২০ জুন: ইতালি-ওয়েলস
* তিনটি ম্যাচই ইতালি খেলবে ঘরের মাঠ রোমের অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.