বর্ণবিদ্বেষী টুইট: শাস্তির মুখে আরো এক ইংলিশ ক্রিকেটার

‘বর্ণবিদ্বেষী আচরণ’ বর্তমান পশ্চিমা বিশ্বের নিয়মিত ঘটনা। ক্রীড়াঙ্গণেও এর প্রবণতা অনেক বেশি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ফুটবল এবং ক্রিকেট লিগের খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে অনেকবার বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগের উঠেছে।

দুই দিন আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন রবিনসন

নয় বছর আগে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী এবং মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করেছিলেন ওলি রবিনসন। এজন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপেক্ষ গত ২ জুন লর্ডস টেস্টে অভিষেক হওয়া এই পেসার। তবুও তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করেছে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড, ইসিবি।

এই ঘটনার দুই দিন না যেতেই ইংল্যান্ডের আরও এক ক্রিকেটারের বর্ণবিদ্বেষীমূলক পুরনো এক টুইট বার্তা প্রকাশ করেছে উইজডেন ডটকম। তবে সেই ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করেনি ক্রিকেটভিত্তিক এই ওয়েবসাইটি।

ওই টুইট বার্তায় চীনের একটি গোত্রের লোকদের বর্ণনা করতে অবমাননাকর অপবাদ দেয়া হয়েছে। টুইট বার্তাটি দেওয়ার সময় ওই ক্রিকেটারের বয়স ছিল ১৬ বছরের আশপাশে।

আপত্তিকর মন্তব্য করায় ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার কথা ভাবছে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ইসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইংল্যান্ডের এক ক্রিকেটার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণাত্মক কিছু পোস্ট করেছিলেন। সেটা আমাদের নজরে পড়েছে। আমরা বিষয়টা নিয়ে তদন্ত করছি। সময় হলেই এ সম্পর্কে সবকিছু জানাবো।’

এর আগে ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত করা টুইটে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মুসলিমদের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত, এশিয়ান বংশোদ্ভূত এবং নারীদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন রবিনসন। তবে লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় দিন ক্ষমা চেয়ে ২৭ বছর এই ক্রিকেটার বলেন, ‘এমন মন্তব্যের জন্য আমি খুবই লজ্জিত। পরিস্থিতি তখন যেমনই হোক, বিচার বিবেচনা না করে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের কোনো রকম ব্যাখ্যা হয় না। সে সময় থেকে আমি মানুষ হিসেবে অনেকটাই পরিপক্ক হয়েছি। আমার কথার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’