২০০৩ সালে মালিকানা বদলের পর পাল্টে যায় চেলসির চেহারা। পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটিকে কিনে নেন রাশান ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচ। প্রায় দেড় যুগের এই অধ্যায়ে কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢেলেছেন তিনি। সাফল্যও পেয়েছেন। এই সময়ে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছে তার দল চেলসি। এই সাফল্যের পেছনে আছে অসংখ্য ফুটবলারের পারফরম্যান্স। যাদের পেছনে মোটা অংকের অর্থ খরচ করেছেন আব্রামোভিচ। এই সময়ে বিশ্বসেরা অনেক বড়বড় ফুটবলারকে দলে টানতে গিয়ে হতাশ হয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে বিশ্বমানের পাঁচ ফুটবলার আছেন যারা প্রত্যাখ্যান করেছিল চেলসিকে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক তাদের:

alisson becker romelu lukaku neymar steven gerrard roberto carlos

অ্যালিসন বেকার: এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। বর্তমানে লিভারপুলে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান শেষ প্রহরী। ২০১৮ সালে অ্যালিসনকে অনেকেই দলে টানার স্বপ্ন দেখেছিল। তন্মধ্যে ছিল চেলসির নাম। অ্যালিসনের জন্য রেকর্ড ৬২.৫ মিলিয়ন  ইউরো খরচ করতে প্রস্তুত ছিল চেলসি। পরবর্তীতে নাটকীয়ভাবে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। কোচ পাল্টে ফেলে চেলসি। অ্যালিসনেরও মত ঘুরে যায়। সুযোগ বুঝে এএস রোমার কাছ থেকে ব্রাজিলিয়ান সেনসেশনকে কিনে নেয় লিভারপুল। অ্যালিসনকে পেতে ব্যর্থ চেলসি কেপার সঙ্গে ৮০ মিলিয়ন ইউরো (গোলরক্ষকদের মধ্যে সর্বোচ্চ চুক্তি) চুক্তি করে ইংলিশ জায়ান্টরা।

রোমেলু লুকাকু: এই মৌসুমে সেরা স্ট্রাইকারদের একজন রোমেলু লুকাকু। সদ্য সমাপ্ত সিরি’এ লিগের মৌসুমে ৩০টি গোল করেছেন বেলজিয়ান তারকা। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ওপর দাঁড়িয়ে ১১ বছর পর ইতালিয়ান লিগ জিতেছে ইন্টার মিলান। ২০১৭ সালে এভারটন থেকে তার চেলসিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। যদিও পরে তা প্রত্যাখ্যান করেন লুকাকু। পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। এখানে অবশ্য ব্যর্থ হন তিনি। গত মৌসুমে লুকাকু যোগ দেন ইতালিয়ান ফুটবলে। এখানে এসে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন তিনি। যেমনটা এভারটনে পারফর্ম করেছেন। মার্সিসাইডের ক্লাবটির হয়ে ১৬৬ ম্যাচে ৮৭টি গোল করেছিলেন লুকাকু। এ ছাড়া সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ২৯টি।

romelu lukaku celebrates a goal

নেইমার: বেশ কয়েক বছর আগে সান্তোসে আলো ছড়াচ্ছিলেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকারকে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছিল ইউরোপের প্রায়সব জায়ান্ট দল। তবে আসল লড়াই জমে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে। যেখানে জয় হয়েছে বার্সার। ৫৭ মিলিয়ন ইউরোতে ন্যু ক্যাম্পে পাড়ি জমান নেইমার। ওই সময় চেলসিও চেয়েছিল ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। ছেলের ট্রান্সফারের কথা বলতে দুবার লন্ডনে এসেছিলেন নেইমারের বাবা। কিন্তু নেইমার গড়িমসি করেন চেলসিতে যেতে। লন্ডনেও তার আর আসা হয়নি।

neymar pastore celebrate after a goal

স্টিভেন জেরার্ড: লাল দুর্গের রাজা বলা হতো স্টিভেন জেরার্ডকে। পেশাদার ক্যারিয়ারের ২৭ বছর লিভারপুলে কাটিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ কিংবদন্তি। ২০০৪-০৫ মৌসুমে ছেলেবেলার ক্লাব ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল তার। জেরার্ডের চেলসিতে আসার কথা ছিল। যদিও তা হয়নি। ২০১৪ সালে ফের জেরার্ডকে দলে টানার সব পরিবেশ গুছিয়েছিল চেলসি। কুড়ি মিলিয়ন ইউরোর চুক্তির কথাবার্তাও পাকা হয়েছিল। কিন্তু এরপরই ঘুরে গেল পুরো ব্যাপারটা। লিভারপুল ছেড়ে গেলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমন অবস্থায় সিদ্ধান্ত পাল্টান জেরার্ড। থেকে যান অ্যানফিল্ডেই।

রবার্তো কার্লোস: সর্বকালের সেরা ডিফেন্ডারদের একজন ভাবা হয় রবার্তো কার্লোসকে। ২০০৭ সালে চেলসির সঙ্গে প্রায় চুক্তি করেই ফেলেছিলেন তিনি। ওই সময়টা ছিল ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির ক্যারিয়ারের শেষ লগ্ন। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ১১ বছরে ১৩টি শিরোপা জয়ের পর তাকে মুক্ত করে দেওয়া হয়। ফ্রি ট্রান্সফারে চেলসিতে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ৩৪ বছর বয়সী কার্লোস। কিন্তু প্যারিসে চেলসি প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত পাল্টান তিনি। কার্লোসের খুঁটিনাটি কিছু দাবি মেনে নেয়নি চেলসি। তখন চেলসিকে প্রত্যাখ্যান করে ব্রাজিলিয়ান তারকা চলে যান তুর্কি ক্লাব ফেনারব্যাচে। কার্লোসকে না পেয়ে আরেক ব্রাজিলিয়ান দ্যানি আলভেজ ও ইংলিশ তারকা অ্যাশলে কোলের সই নেয় চেলসি।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.