আবারো উয়েফার হুমকি

নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা শুরু হলো ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ঘিরে। টুর্নামেন্টের সময়সীমা যতই এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে দুশ্চিন্তা। একদিকে জায়ান্ট ক্লাবগুলোর জোট অন্যদিকে উয়েফার কঠোর অবস্থান। উয়েফার কঠোরতার সমর্থন দিয়ে ফিফা-ও তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। কিন্তু টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টা আমলেই নিচ্ছে না।

এরই প্রেক্ষিতে নতুন করে হুমকি দিয়ে বসল ইউরোপিয়ান ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। রোববার রাতে ‘বিদ্রোহী’ টুর্নামেন্ট ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগ’ নিয়ে এক বিবৃতিতে উয়েফা বলেছে, ‘এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ক্লাবকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।’ এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টুর্নামেন্টে কাদের অংশ নেওয়ার কথা?

কাল রাতে এক প্রতিবেদনে অংশগ্রহণকারী ১১টি ক্লাবের বেশ কয়েকটার নাম প্রকাশ করেছে ইতারিয়ান প্রচারমাধ্যম লা গাজেত্তা। প্রকাশিত ক্লাবগুলো হলো- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, আর্সেনাল, লিভারপুল, চেলসি, টটেনহাম হটস্পার, রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, জুভেন্টাস, এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। বাকি তিন ক্লাবের নাম এখনো জানা যায়নি।

লা গাজেত্তা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে টুর্নামেন্টে অংশ নিলে দলগুলোর বিরুদ্ধে অন্তত ৫০০ কোটি ইউরোর মামলা করবে উয়েফা। উয়েফা তাদের ওয়েবসাইটে হুমকি দিয়ে বলেছে, ‘আমরা আবারো বলতে চাচ্ছি, আমরা ফিফা এবং আমাদের সব সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ আছি। বিপজ্জনক এই প্রকল্প বন্ধ করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ‘মুষ্ঠিমেয় কয়েকটা ক্লাব তাদের নিজেদের স্বার্থে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায়। এই প্রকল্প ঠেকাতে সম্ভাব্য সবকিছুই করব আমরা।’

‘বিদ্রোহী’ এই টুর্নামেন্টের ‘নাটের গুরু’ নাকি রিয়াল মাদ্রিদ। স্প্যানিশ এই ক্লাবটিই নাকি অন্য দেশের জায়ান্টদের নিয়ে গোপনে বৈঠক করেছে। কয়েক মাস আগে রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ আবার প্রকাশ্যে উয়েফার টুর্নামেন্টের সমালোচনা করে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। পরে উয়েফাকে সমর্থন দিয়ে কঠোর বার্তা দেয় ফিফা। কয়েক মাস এই টুর্নামেন্ট নিয়ে কোনোকিছু শোনা যায়নি। এরপর লা গাজেত্তার বিস্ফোরক প্রতিবেদনের পর নতুন করে হুমকি দিয়ে বসল উয়েফা।