শেষ বলে নাটকীয় জয়ে আইপিএল শুরু কোহলিদের

প্রত্যাশিত জয় দিয়ে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আসর শুরু করলো বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। অন্য দিকে টানা তৃতীয় শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে আইপিএল শুরু করা মুম্বাইয়ের প্রথম ম্যাচটা গেলো দুঃস্বপ্নের মতো। মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জেতার জন্য শেষ বলে এক রান দরকার ছিলো ব্যাঙ্গালুরুর। দুই উইকেট হাতে রেখে সহজেই এক রান নিয়ে নাটকীয় জয় পায় তারা।

বাংলাদেশ সময় শুক্রবার রাতে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি। সিদ্ধান্তটি যে খারাপ হয়নি তা প্রমাণ করে দেন তার বোলাররা। মুম্বাইকে তারা আটকে রাখেন ১৫৯ রানে।

জবাব দিতে নেমে এবি ডি ভিলিয়ার্স, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অধিনায়কের ব্যাটিং দাপটে জেতে যায় ব্যাঙ্গালুরু। দক্ষিণ আফ্রিকান সুপার স্টার ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ২৭ বলে ৪৮ রান করেন। দুটি ছয় ও চারটি চারে মুম্বাইয়ের বোলারদের দারুণ বিপদে রাখেন তিনি। অন্য দিকে পাঞ্জাব কিংস থেকে ব্যাঙ্গালুরুতে এসেই আইপিএল মাতিয়ে তুলেন ম্যাক্সওয়েল। ২৮ বলে তিনি করেন ৩৯ রান। সঙ্গে ছিলো দুটি ছয় ও তিনটি চার। আর কোহলি ২৯ বলে করেন ৩৩ রান।

ডি ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবের মুখে মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মা এক রকম বাধ্য হয়ে তার সেরা বোলার জাসপ্রিট বুমরার কোটা শেষ করে ফেলেন আগেই। ফলে শেষ ওভারে গিয়ে তাকে বল তুলে দিতে হয় মার্কো জ্যানসেনের হাতে। এখনো আন্তর্জাতিক অভিষেক না হওয়া এই দক্ষিণ আফ্রিকান দীর্ঘদেহী পেসার শেষ ওভারে সাত রান আটকাতে ব্যর্থ হন।

শেষ ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন ডি ভিলিয়ার্স। পরের বলে হার্শাল প্যাটেল নেন দুই রান। তৃতীয় বলে আবার এক রান নেন তিনি। প্রথম তিন বলে চার রান নেওয়া ব্যাঙ্গালুরুর শেষ তিন বলে দরকার ছিলো তিন রান। চতুর্থ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন ডি ভিলিয়ার্স। আউট হওয়ার আগে এক রান পূরণ করেন তিনি। পঞ্চম বলে কোনোমতে এক রান নেন মোহাম্মদ সিরাজ। শেষ বলে এক রান নিয়ে ম্যাচ জেতান প্যাটেল।

শেষ ওভারের এই কৃতিত্বের আগে বল হাতেও স্বপ্নের মতো সন্ধ্যা কাটান হার্শাল প্যাটেল। মুম্বাইকে ১৫৯ রানে আটকে ফেলার পথে সেরা ভূমিকা রাখেন তিনি। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন পাঁচ উইকেট।

১১ ওভারের মধ্যে দুই উইকেটে ৯৪ রান তুলে ফেলেছিলো মুম্বাই। ক্রিস লিনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সামনে ব্যাঙ্গালুরুকে বেশ অসহায় মনে হয়েছিলো। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরার পর, মুম্বাই ছন্দটা হারিয়ে ফেলে।

সূর্যকুমার যাদব ও ইশান কিষান চেষ্টা করেছিলেন হারানো ছন্দটা ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু যাদবকে ফেরান কাইল জেমিসন ও প্যাটেল ফেরান কিষানকে। এরপর আর সেভাবে ব্যাটিং তাণ্ডব জারি রাখতে পারেনি মুম্বাই। একে একে আরো চারটি উইকেট তুলে নেন প্যাটেল।

শেষ দিকে যে তিনজনের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিলো মুম্বাই— হার্দিক পান্ডিয়া, কিরন পোলার্ড ও ক্রুনাল পান্ডিয়া— তিনজনকেই ফেরান হার্শাল প্যাটেল। মুম্বাইয়ের তাই ১৫৯ রানের বেশি করার কোনো সুযোগই তৈরি হয়নি।