দল পর্যালোচনা: রাজস্থানের রাজত্বে ফেরার চ্যালেঞ্জ
- Details
- by খেলাধুলা প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে গত মৌসুমে যথা সময়ে মাঠে গড়ায়নি আইপিএল। অনেক নাটকীয়তার পর গত বছরের শেষ দিকে আরব আমিরাতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। যা ছিল দ্বিতীয়বারের মতো বিদেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজন। এবার যথারীতি আয়োজন ঘরে ফিরছে। যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে যায়নি। তাই রুদ্ধধার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচগুলো।
উদ্বোধনী ম্যাচের শহর মহারাষ্ট্রে কারফিউজ জারি করেছিল দেশটির সরকার। আইপিএলের কারণে তা কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার এখানেই শুরু হবে টুর্নামেন্টের ১৪তম আসর। ব্যাট-বলের রোমাঞ্চকর যুদ্ধের আগে অংশগ্রহণকারী আট দলকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ প্রতিবেদন। আজকের আয়োজনে থাকছে রাজস্থান রয়্যালস। টুর্নামেন্টে দলটির সম্ভাবনা, শক্তিমত্তা, দুর্বলতা, তথা মৌলিক বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের পাঠকদের জন্য:
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রথম আসরের ফাইনালটার কথা মনে আছে? শেষ দুই বলে জোড়া ছক্কা মেরে রাজস্থান রয়্যালসকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন। সেই শুরু এবং শেষ। এরপর চ্যাম্পিয়ন হওয়া তো দূরের কথা আইপিএলের ফাইনালেও উঠতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। প্রায় দেড় দশকের আক্ষেপ ঘুচতে প্রতি মৌসুমেই আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দলটি।
এবারো তাই করবে তারা। দলটির সবচেয়ে বড় শক্তি বিদেশিরা। বিশেষ করে ব্যাটিং বিভাগ। বোলিং বিভাগটাও শক্তিশালী ছিল তাদের। কিন্তু জফরা আর্চারের ইনজুরিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে তারা। তা না হলে এই দলটা বাজির দরে শীর্ষে থাকতে পারতো। দলে নেই বড় কোনো ভারতীয় ব্যাটসম্যান। তরুণ ও নতুনদের নিয়েই মূলত এবারের রাজস্থান। এই দলে মুস্তাফিজুর রহমান আছেন বলে বাংলাদেশিদের আলাদা নজর থাকবে রাজস্থানের ওপর।
গত মৌসুমটা যতটা সম্ভব বাজে কেটেছে রাজস্থান রয়্যালসের। সেরা চার তো দূরের পথ, রবিন লিগ রাউন্ড তারা শেষ করেছে টেবিলের তলানিতে থেকে। সেই ধাক্কা এবার সামলে উঠতে নেতৃত্ব পাল্টেছে তারা। স্টিভেন স্মিথকে ছেড়ে দিয়ে সনজু স্যামসনের হাতে অধিকায়কের বাহুবন্ধনী বেঁধে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির নীতি নির্ধারকরা।
শক্তিমত্তা: স্মিথকে ছেড়ে দিলেও ব্যাটিং বিভাগের শক্তি কমেনি রাজস্থানের। বরং বেড়েছে। এই দলে আছেন জস বাটলার, বেন স্টোকসদের মতো ফিনিশার। স্টোকসের সঙ্গে আরো একজন বড় অলরাউন্ডার আছে দলটাতে। তিনি ক্রিস মরিস। সাড়ে ১৬ কোটি রুপি দিয়ে এবার তাকে কিনেছে রাজস্থান। আফ্রিকান অলরাউন্ডার বল হাতে যেমন কার্যকর তেমনি পরিস্থিতির দাবি মিটিয়ে ব্যাট করতে পারেন। আছেন ডেভিড মিলারের মতো ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান। এ ছাড়া লিয়াম লিভিংস্টোনকে দলে নিয়েছে রাজস্থান।
দুর্বলতা: রাজস্থানের উদ্বেগের কারণ ওই বোলিং বিভাগ। দলের সেরা পেসার আর্চার ইনজুরি নিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছেন। সম্প্রতি ভারতের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন কনুইতে চোট পেয়েছেন ডানহাতি পেসার। ইংলিশ পেসারের অনুপস্থিতি অন্য বোলারদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে মুস্তাফিজুর রহমান, আন্দ্রে টাই, মরিস, কুলদ্বীপ যাদবের ওপর। পরিস্থিতিই বলে দেবে কাকে কখন কী করতে হবে। দলের সেরা স্পিনার ‘চায়নাম্যান’ খ্যাত কুলদ্বীপ।
সম্ভাবনা: কাগজে-কলমের হিসেবে রাজস্থান রয়্যালস প্লে-অফ পর্বে খেলার সামর্থ্য রাখে। বাকিটা নির্ভর করবে পারফরম্যান্সের ওপর। তবে স্বপ্নের দ্বিতীয় শিরোপা জিততে রাজস্থান রয়্যালসকে তাকিয়ে থাকতে হবে একঝাঁক বিদেশি তারকাদের দিকে। তারা দারুণ কিছু করলে তবেই শিরোপা জেতা সম্ভব। আগামী ১২ এপ্রিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মিশন শুরু করবে রাজস্থান রয়্যালস।
রাজস্থান রয়্যালস স্কোয়াড: সনজু স্যামসন (অধিনায়ক), মহিপাল লমরর, মানান ভোহরা, রিয়ান পরাগ, মায়াঙ্ক মারকান্দে, শ্রেয়াস গোপাল, জয়দেব উনাদকাত, কার্তিক টায়াগি, রাহুল তিওয়ারি, জাসাসভি জাসওয়াল, অনজু রাওয়াত, ডেভিড মিলার, আন্দ্রে টাই, বেন স্টোকস, জস বাটলার, কেসি কারিয়াপ্পা, চেতন সাকারিয়া, ক্রিস মরিস, শিভাম দুবে, মুস্তাফিজুর রহমান, লিয়াম লিভিংস্টোন, কুলদ্বীপ যাদব ও আকাশ সিং।
গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...
খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর
Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.
Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.