ঘর পরিষ্কারের সামগ্রী কতোটুকু নিরাপদ

ময়লা, আবজর্না, জীবাণু দূর করে ঘরকে পরিষ্কার করতে আমরা আজকাল বিভিন্ন ক্লিনিং সামগ্রী ব্যবহার করি, যেগুলোর বেশ কিছুতে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এই রাসায়নিকযুক্ত সামগ্রীগুলো কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে চিন্তার কিছু নেই। এই সামগ্রীগুলো আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে না। পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত তরলগুলো নানা ধরনের শক্তিশালী রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয়। এ কারণে বোতলের পেছনে অনেক সময় নানা সতর্ক বার্তা লেখা থাকে। সেগুলো দেখে নিতে হবে।

রাসায়নিক পদার্থযুক্ত সামগ্রী নিয়ে নানা ভুল ধারণা রয়েছে। যেমন, কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট পাউডারে সোডিয়াম লরেল সালফেট থাকায় অনেকে মনে করে রাসায়নিক পদার্থটির জন্য চোখে ছানি, ক্যান্সার, অন্ধত্ব হতে পারে। কিন্তু এর সবই গুজব।

আবার বাসা কিংবা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার জন্য আমরা ফিনাইল, মেঝে কিংবা থালাবাসন পরিষ্কারের জন্য তরল সাবান নিয়মিত ব্যবহার করি। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রতিটি পণ্যই নিরাপদ। ডিসওয়াশিং লিকুইড, জীবাণুনাশক, রূপচর্চার প্রসাধনী, শ্যাম্পু এবং টুথপেস্টেও নির্দিষ্ট পরিমাণ ফরমালিন ব্যবহার করা হয় যা ক্ষতিকারক নয়। ইন্টারনেটে এসব জিনিসের বিরুদ্ধে নানা ধরনের সতর্কতামূলক বার্তা দেখে আঁতকে ওঠার কিছু নেই। কারণ সাধারণত নামকরা ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত পণ্যগুলোর ওপর নানা রকম পরীক্ষা চালায়। পরিষ্কারের সামগ্রী নয় বরং ফরমালিনযুক্ত ফলমূল কিংবা শাকসবজি নিয়ে চিন্তিত হওয়া জরুরি।

এক্ষেত্রে অনেকে প্রাকৃতিক পণ্যের কথা ভাবতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক সমাধানই যে সবসময় শ্রেষ্ঠ সমাধান হবে, তা কিন্তু নয়। অনেক সময় দেখা যায়, প্রাকৃতিক পণ্যগুলোতেও বিষাক্ত নানা উপাদান থাকে। আসলে মূলকথা হল রাসায়নিক কিংবা প্রাকৃতিক, যে কোনো ধরনের পরিষ্কারক সামগ্রী ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করা অবশ্যই প্রয়োজন।

সুতরাং, ঘরের পরিষ্কারক সামগ্রী ব্যবহারের সময় বোতলের গায়ে লেখা নিয়মাবলী অবশ্যই পড়ে ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ সম্বলিত পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে দরজা জানালা খুলে ব্যবহার করুন এবং পরিমাণ ঠিক রাখুন। ব্যবহারের সময় চোখে যেন হাত না যায়। প্লাস্টিকের হাতমোজা, মাস্ক এবং চোখের নিরাপত্তার জন্য গ্লাস পড়ে ঘর পরিষ্কারের কাজ করুন। এতে নখ কিংবা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ক্ষতিকারক পদার্থ দেহে প্রবেশ করতে পারবে না, চোখও থাকবে নিরাপদ। পরিষ্কারের দায়িত্ব গৃহকর্মীদের ওপর ছেড়ে দিলে তাদের সঠিক নির্দেশনা দেয়া একান্ত জরুরি।

আপনি আরও পড়তে পারেন

চিনির নানান ব্যবহার

মশার উপদ্রব থেকে সারাবছর মুক্ত!

তেলাপোকা কি খাবার নষ্ট করে?

মরচে পড়া তুলে ফেলুন ঝটপট উপায়ে

পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রেহাই