কার হাতে উঠবে গোল্ডেন শু?

গত মৌসুমের শেষ দিকে জমে উঠেছিল ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু’র লড়াই। চতুর্মুখী লড়াইয়ে ছিলেন লাৎসিও ফরওয়ার্ড সিরো ইম্মোবিলে, জুভেন্টাস উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, লাইপজিগ ফরওয়ার্ড টিমো ওয়ার্নার ও বায়ার্ন মিউনিখের রবার্ট লেভানডফস্কি। শেষের তিনজনকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো গোল্ডেন শু হাতে তোলেন ইতালিয়ান ফরওয়ার্ড।

ইতালিয়ান সিরি’এ লিগের গত মৌসুমে লাৎসিওর হয়ে ৩৬টি গোল করেন ইম্মোবিলে। তাতে করে পয়েন্ট পান ৭২। এতেই হলো বড় ধরনের চমক। লিওনেল মেসির টানা হ্যাটট্রিকের রাজত্ব গুঁড়িয়ে যায়। এই মৌসুমটা ইম্মোবিলের জন্য মুকুট ধরে রাখার লড়াই। যেখানে অনেকটাই পিছিয়ে আছেন তিনি।

লিগে এখন অবধি ১১টি গোল করেছেন ইম্মোবিলে। তার ওপরে আছেন বেশ কয়েকজন। মৌসুমের বাকি সময়ে অলৌকিক কিছু না ঘটলে মুকুট হারাতে চলেছেন লাৎসিও। তাহলে কার হাতে উঠবে গোল্ডেন শু? উত্তর খুঁজলে এই মুহূর্তে এগিয়ে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার লেভা।

বলতে গেলে একচ্ছত্র আধিপত্যে এগিয়ে চলছেন গত মৌসুমে দলীয়ভাবে ট্রেবল জেতা লেভা। গত মৌসুমের চেয়ে আরো ক্ষুরধার হয়ে উঠেছেন তিনি। ইতোমধ্যে জার্মান বুন্দেসলিগায় ১৯টি গোল করে ফেলেছেন। ইউরোপিয়ান শীর্ষস্থানীয় লিগগুলোর গোলদাতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গেল বছরের বর্ষসেরা ফুটবলার।

তার ধারে কাছেও কেউ নেই। দুইয়ে থাকা রোনালদো তার চেয়ে পাঁচ গোল পিছিয়ে আছেন। ১৩ গোল করা লিভারপুলের ফরওয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ আছেন তিনে। সমান ১২ গোল করেছেন চারজন। তারা হলেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের আর্লিং হালান্ড, ইন্টার মিলানের রোমেলু লুকাকু, পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে ও টটেনহামের সন হিয়ুং-মিন।

সমান ১১টি করে গোল করেছেন সাতজন ফুটবলার। এদের মধ্যে আছেন ইম্মোবিলে ও বার্সেলোনা অধিনায়ক লিওনেল মেসি। ১০টি করে গোল আছে আটজন ফুটবলারের। এদের মধ্যে অন্যতম এসি মিলান স্ট্রাইকার ইব্রাহিমোভিচ। হয়তো সবার ওপরেই থাকতে পারতেন সুইডেনের সাবেক অধিনায়ক।

সেটা সম্ভব হয়নি ইনজুরির কারণে। চোটে পড়ার আগে সিরি’এ লিগে ছয় ম্যাচে দশ গোল করেছেন ইব্রা। এসি মিলান প্রাণভোমরা যে ফর্মে ছিলেন তাতে করে চোটে না পড়লে গোল্ডেন শু’র লড়াইটা ভালোভাবেই জমিয়ে দিতে পারতেন। স্বস্তির খবর হচ্ছে, চোট কাটিয়ে শনিবার মাঠে ফিরেছেন তিনি। এবার স্বরূপে ফেরার পালা।

একনজরে গোল্ডেন শু’র লড়াই

রবার্ট লেভানডফস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ, ১৯ গোল ৩৮ পয়েন্ট)

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস, ১৪ গোল, ২৮ পয়েন্ট)

মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল, ১৩ গোল, ২৬ পয়েন্ট)

আর্লিং হালান্ড (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, ১২ গোল, ২৪ পয়েন্ট)

রোমেলু লুকাকু (ইন্টার মিলান, ১২ গোল ২৪ পয়েন্ট)

কিলিয়ান এমবাপ্পে (পিএসজি, ১২ গোল ২৪ পয়েন্ট)

সন হিয়ুং-মিন (টটেনহাম হটস্পার ১২ গোল, ২৪ পয়েন্ট)

লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা, ১১ গোল, ২২ পয়েন্ট)

মেম্পিস ডিপেই (অলিম্পিক লিওঁ, ১১ গোল, ২২ পয়েন্ট)

আন্দ্রে সিলভা (ইন্ট্র্যাক্ট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ১১ গোল, ২২ পয়েন্ট)

সিরো ইম্মোবিলে (লাৎসিও ১১ গোল ২২ পয়েন্ট)

ব্রুনো ফার্নান্দেজ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১১ গোল, ২২ পয়েন্ট)

ডমিনিক কালভার্ট-লেভিন (এভারটন ১১ গোল ২২ পয়েন্ট)

জেমি ভার্ডি (লেস্টার সিটি ১১ গোল, ২২ পয়েন্ট)

লুইস মুরিয়েল (আটালান্টা, ১০ গোল ২০ পয়েন্ট)

হ্যারি কেন (টটেনহাম হটস্পার, ১০ গোল ২০ পয়েন্ট)

প্যাট্রিক বামফোর্ড (লিডস ইউনাইটেড, ১০ গোল ২০ পয়েন্ট)

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (এসি মিলান, ১০ গোল, ২০ পয়েন্ট)

হোয়াও পেদ্রো (কালিয়ারি ১০ গোল, ২০ পয়েন্ট)

বুলায়ে দিয়া (রেইমস, ১০ গোল, ২০ পয়েন্ট)

জেরার্ড মরেনো (ভিয়ারিয়াল ১০ গোল, ২০ পয়েন্ট)

উট ওয়েগোরস্ট (ভলফসবুর্গ, ১০ গোল, ২০ পয়েন্ট)

লুইস সুয়ারেজ (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৯ গোল, ১৮ পয়েন্ট)

আন্দ্রে বেলোত্তি (তুরিনো, ৯ গোল ১৮ পয়েন্ট)

লাওতারো মার্টিনেজ (ইন্টার মিলান, ৯ গোল, ১৮ পয়েন্ট)

ইয়াগো আসপাস (সেল্টা ভিগো, ৯ গোল, ১৮ পয়েন্ট)

ময়েজ কিন (প্যারিস সেন্ট জার্মেই, ৯ গোল, ১৮ পয়েন্ট)

কার্ল টোকো ইকাম্পি (অলিম্পিক লিওঁ, ৯ গোল, ১৮ পয়েন্ট)

* ১০ জানুয়ারি, ২০২১; সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত