খেজুর কেনো খাবেন?

খেজুর সারা বছর পাওয়া গেলেও রমজান মাস ছাড়া ফলটি কমই খাওয়া হয়। রোজায় দীর্ঘ সময় খালি পেটে থাকতে হয়। তাই তাৎক্ষণিক প্রাণশক্তি যোগাতে খেজুর ইফতারে থাকা চাই-ই চাই। খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। অতি প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক ছাড়াও আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, ফোলেট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে।

নানা রোগের মহাওষুধ এই ফলটির পুষ্টিগুণ বা উপকারিতা সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন-

খেজুরে থাকা ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও শরীরের পেশি ও হাড়ের গঠন মজবুত এবং শক্তিশালী করে। ওজন বাড়াতে চাইলে নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন। এটি সন্তানসম্ভবা মায়েদের শিশুর বিকাশে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি দূর করে।

খেজুর শক্তিবর্ধক ফল যা কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা অল্প পরিশ্রমে নিস্তেজ হয়ে পড়েন তারা নিয়মিত খেজুর খান। অ্যানিমিয়া বা রক্তরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারী। এটি মনোদৈহিক শক্তি বাড়ায়।

খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস, কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। খেজুরের অসাধারণ স্বাস্থ্যগত একটি উপকারিতা হল এটি নিয়মিত খেলে হজম প্রক্রিয়ার জটিলতা কমে এবং খাবারের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে শরীরের প্রতিটি কোষে ছড়িয়ে দেয়।

প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে খুব কম খাবারের মধ্যেই সালফার রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে অনেকের এলার্জি বেড়ে যায়। খেজুরে থাকা সালফার সিজনাল এলার্জি প্রতিরোধ করে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

আপেলের সঙ্গে বিষ খাচ্ছেন নাতো?

ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়া

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিস একত্রে হলে খুবই বিপদজনক

ফলমূল কখন খাবেন, কয়টা খাবেন

কালো চকোলেট কেন খাবেন