জানুয়ারিতেই অ্যাপলওয়াচ

নতুন আইফোনের সাথে অ্যাপল ওয়াচের ঘোষণাও দিয়েছে অ্যাপল ইনকর্পোরেশন। বেশ কয়েক দিন আগেই খবর ছড়িয়েছিলো যে- আসছে আইওয়াচ। আইফোনের সাথে মিলিয়ে অ্যাপলের স্মার্টওয়াচের নাম হবে আইওয়াচ, সবাই ধরে নিয়েছিলো এমনই। কিন্তু আসলে তা হয়নি। অ্যাপল তাদের স্মার্টওয়াচের নাম দিয়েছে অ্যাপল ওয়াচ। নতুন এই প্রযুক্তিপণ্যটি পাওয়া যাবে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই। আইফোন সিক্স উন্মোচন করার দিনে এমন তথ্য জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।

২০১০ সালে আইপ্যাড বাজারে আনার পর এটিই অ্যাপলের প্রথম নতুন পণ্য। অ্যাপল ওয়াচটি চারকোনা আকৃতির ঘড়ি। ভোক্তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী অ্যাপলের স্মার্টওয়াচের দারুণ একটি ফন্ট প্যানেলও থাকছে। যেটি ব্যবহার করে ঘড়িটিকে ইচ্ছেমতো সেটিং করে নেয়া যাবে। মজার ব্যাপার হলো অ্যাপলের নতুন সার্ভিস অ্যাপল পে-ও ব্যবহার করা যাবে অ্যাপল ওয়াচের মাধ্যমে। অ্যাপল পে-হলো নতুন ধারণার নতুন রকের পেমেন্ট সলিউশন। অ্যাপল মনে করছে, পেমেন্টে যতো ধরনের ঝামেলা আছে, তার সবই মিটে যাবে অ্যাপল পে-র মাধ্যমে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় তিনটি প্রতিষ্ঠান অ্যামেক্স, মাস্টার কার্ড এবং ভিসা কার্ডসমূহু অ্যাপল পে-র সাথে একত্রিকরণ করা যাবে। ফলে কার্ড বহন করার ঝামেলাও কমে আসবে।

অ্যাপল ওয়াচের আরো একটি সবিশেষ দিক হলো- এটিকে আপনি ইচ্ছেমতো কাস্টমাইজ করতে পারবেন। যেমন দুদিন ডিজিটাল ঘড়ির মতো চালানোর পর আপনি যদি চান অ্যানালগ কাঁটাঘড়ির মতো হোক আপনার অ্যাপলওয়াচ, তবে তাই পারবেন। অ্যাপলওয়াচে বেশ কিছু সেন্সর যোগ করা হয়েছে। যেগুলো আপনার ঘড়ি ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে অ্যাপল। এ ইচ্ছেমতো কেসিং বদলানো, ফিতা বা চেইন বাছাইয়ের সুবিধাও পাবেন অ্যাপলওয়াচে।

এতো সব সুবিধা, তার উপর এটি অ্যাপলের পণ্য; দাম যে একটু বেশি হবে তা তো অনুমিতই। অ্যাপলের দেয়া তথ্যমতে- অ্যাপলওয়াচ কিনতে আপনাকে খরচ করতে হবে অন্তত ৩৫০ ডলার। দামটা বেশি না কম, তা এবার আপনিই বিবেচনা করুন। সাথে পণ্যটির বহুমাত্রিক গুণাগুনও মাথায় রাখুন। তারপর যদি কিনতে চান, তবে জানুয়ারির অপেক্ষায় বসে পড়ুন।