টটেনহামে চূর্ণ ম্যানইউ

ঘরের মাঠে খেলা। খুব স্বাভাবিকভাবেই ফেভারিট ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু ম্যাচের ফলটা এমন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল যা হয়তো বিশ্বাস করতেও কষ্ট হবে সমর্থকদের। রোববার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ম্যানইউ হেরেছে ৬-১ গোলে। রেড ডেভিলসদের নাস্তানাবুদ করেছে টটেনহাম হটস্পার। সবশেষ ২০১১ সালে ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে একই ব্যবধানে হেরেছিল ম্যানইউ।

সাবেক কোচ হোসে মরিনহোর দুর্দান্ত রণকৌশলে এমন দশা হয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। উত্তর লন্ডনের ক্লাবটির সামনে দাঁড়াতেই পারল না ইংলিশ লিগের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। টটেনহামের গোলবন্যার রাতে উৎসব হয়েছে প্রতিবেশী ক্লাব আর্সেনালেও। ঘরের মাঠে শেষ মুহূর্তের গোলে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে গানাররা।

ওল্ড ট্রাফোর্ডে যে গোলবৃষ্টি হতে চলেছে সেটা বোঝা গেছে শুরুতেই। সাত মিনিটের মধ্যে তিন গোল দেখেছে ম্যাচটি। এমন ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই। দুই মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে টটেনহামের জাল কাঁপান ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এই গোলটাই তাঁতিয়ে দিয়েছে অতিথিদের। জবাবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করেছে টটেনহাম।

ম্যাচটা জমবে বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের বয়স আধ ঘণ্টার হওয়ার আগেই রোমাঞ্চে ভাটা পড়ে। সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন অ্যান্তনি মার্শিয়াল। ব্যস, দশজনের ম্যানইউকে ভালোভাবেই পেয়ে বসে টটেনহাম। পরের নয় মিনিটে স্পার্সরা করে আরো দুই গোল। এ সময় ডাবলস পূরণ করেন সন হিয়ুং-মিন। হ্যারি কেন করে প্রথম গোল।

ইংলিশ স্ট্রাইকারকে দিয়ে গোলটা করিয়েছেন কোরিয়ান ফরওয়ার্ড। ৭৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোল করে উদযাপনের ইতি টানেন কেন। মাঝে ৫১ মিনিটে আরিয়ার স্কোরারশিটে নাম তোলেন। আর টটেনহাম চার মিনিটে সমতায় ফিরেছে এনডোম্বেলের গোলে। এমন রাজসিক একটা জয়ের পরও চার ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয়ে থাকল টটেনহাম। আর তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে টেবিলের ১৬ নম্বরে নেমেছে ম্যানইউ।