‘টুইনডেমিক’ আতঙ্কে বিশ্ববাসী

যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বর্তমানে অবস্থান করছে গরম এবং শীতের সন্ধিক্ষণে। গরম চলে যাচ্ছে আর আসি আসি করছে শীত। এই সময়টাকে বলা হয় ‘ফ্লু সিজন’। কারণ, বেড়ে যায় জ্বর কিংবা ঠাণ্ডাজনিত অন্যান্য রোগ-বালাই। অন্যদিকে করোনার বিস্তার তো সমান গতিতে চলছেই। এই দুটোকে মিলিয়ে গবেষকরা নাম দিয়েছেন ‘টুইনডেমিক’।

ইউরোপে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে ফ্লু। যুক্তরাষ্ট্রসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ এমনকি বাংলাদেশেও এসময় জ্বর এবং ঠাণ্ডজনিত বিভিন্ন ব্যাধি মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে। এতে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, মানুষের মধ্যে বেড়ে যাচ্ছে করোনা আতঙ্ক। জ্বর হলেই অনেক সেটাকে করোনা মনে করছেন। এই সঙ্কটকে ‘টুইনডেমিক’ আখ্যা দিয়ে সতর্ক হতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সিজনাল এই ফ্লু মোকাবেলায় নির্দিষ্ট টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ফ্লু’র ভ্যাকসিন কাজে লাগবে না। এই টিকা শুধু ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপ ঠেকাতে সাহায্য করবে।

সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা এবং সাধারণ ফ্লু’র উপসর্গের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য থাকছে না। তাই সাধারণ মানুষ এ নিয়ে চরম বিভ্রান্তিতে ভুগছে। দুই রোগের ক্ষেত্রেই উপসর্গ হিসেবে থাকছে জ্বর, গলা ব্যথা, শরীর ব্যথা এবং সর্দিকাশি। কোভিডের ক্ষেত্রে গন্ধ এবং স্বাদের অনুভূতি চলে যায়। ওদিকে সাধারণ জ্বর-ঠাণ্ডায়ও নাক বন্ধ হয়ে এমনটা হতে পারে।