সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রীড়াবিদদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস। যেখানে একচ্ছত্র আধিপত্য বাস্কেটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের। তবে শীর্ষে নেই তাদের কেউ। মেসি-রোনালদোদের ওপরে আছেন চিরসবুজ খ্যাত সুইস মহাতারকা রজার ফেদেরার। এই টেনিস সম্রাটের চেয়ে কতটা পিছিয়ে ফুটবলার কিংবা অন্য অঙ্গনের খেলোয়াড়রা। টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের পাঠকদের জন্য তা তুলে ধরা হলো:

messi federar and ronaldo

১০. ক্যারসন ওয়েন্টজ: সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ফুটবলারদের তালিকায় দশম স্থানে থাকা নামটা আপনাকে ভড়কে দিতে পারে। বার্ষিক ৫৯.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেন ক্যারসন ওয়েন্টজ। মার্কিন এই ফুটবলার খেলেন ফিলাডেলফিয়া ঈগলসের হয়ে। ক্লাবের অনেক রেকর্ডে জড়িয়ে আছে এই কিংবদন্তির নাম। বছরে তার বেতন ৫৫ মিলিয়ন ডলার এবং বিভিন্ন চুক্তি থেকে পান আরো চার মিলিয়ন ডলার।

৯. কির্ক কাজিন্স: নয় নম্বরে থাকা নামটাও একজন ফুটবলারের। বলা হচ্ছে কির্ক কাজিন্সের কথা। মার্কিন ক্লাব মিনেসতা ভাইকিংসের হয়ে খেলেন এই মার্কিন তারকা। তার বার্ষিক আয় ৬০.৫ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে ৮৪ মিলিয়ন ডলারে ভাইকিংসের চুক্তিতে সই করেন তিনি। যা ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) ইতিহাসে সর্বোচ্চ চুক্তির রেকর্ড। কির্কের দুর্দান্ত নেতৃত্বগুণের কারণে তাকে ‘ক্যাপটেন কির্ক‘ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। বেতন এবং পারিশ্রমিক বাবদ বার্ষিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার পান তিনি। এ ছাড়া আড়াই মিলিয়ন ডলার আসে অন্য চুক্তি থেকে।

৮. টাইগার উডস: সর্বকালের সেরা গলফার বলা হয়ে থাকে টাইগার উডসকে। একসময় আয়ের দিক থেকে সবার ওপরে ছিলেন তিনি। কার্যত তালিকার আটে নেমে গেছেন এই মার্কিন তারকা। তার বার্ষিক আয় ৬২.৩ মিলিয়ন ডলার। যা কোনো গলফারের সর্বোচ্চ আয়ের নজির। ক্যারিয়ারজুড়ে একচেটিয়া দাপট দেখিয়ে চলছেন উডস। তার পারিশ্রমিক অবশ্য খুব বেশি নয়, বার্ষিক ২.৩ মিলিয়ন ডলার বেতন পান তিনি। উডসের আসল আয়ের উৎস বিজ্ঞাপনী চুক্তি। এই খাত থেকেই বার্ষিক ৬০ মিলিয়ন ডলার রোজগার করেন তিনি।

tiger woods 2019

৭. কেভিন ডারেন্ট: উডসের খুব কাছেই আছেন মার্কিন বাস্কেটবল খেলোয়াড় কেভিন ডারেন্ট। ইনজুরির কারণে ২০১৯-২০ মৌসুম খেলতে পারেননি তিনি। তবু তার বার্ষিক আয় আকাশছোঁয়া- ৬৩.৯ মিলিয়ন ডলার। তালিকার সাতে আছেন তিনি। গত বছর গোল্ডেন স্টেড ওয়ারিয়র্সের হয়ে ১৬৪ মিলিয়ন ডলারের চার বছরের চুক্তি করেন ডারেন্ট। তাকে বিগ হার্টেড প্লেয়ার নামে ডাকা হয়। ২০১৩ সালে মুর টর্নেডোর সময় ভুক্তভোগিদের জন্য এক মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন তিনি। ডারেন্ট বিভিন্ন চুক্তি থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার পান এক বছরে। আর তার বার্ষিক বেতন ২৮.৯ মিলিয়ন ডলার।

 ৬. স্টিফেন কারি: আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় বলা হয় স্টিভেন কারিকে। বছরে ৭৪.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেন তিনি। এনবিএর ইতিহাসে সেরা শ্যুটার বলা হয় তাকে। তিন পয়েন্টের শ্যুটার হিসেবে কারিই সেরা। গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের হয়ে তিনবার এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছেন কারি। ব্যক্তিগতভাবে দুবার এনবিএর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন। তার বার্ষিক বেতন ৩০.৪ মিলিয়ন ডলার এবং অন্য চুক্তি থেকে ৪৪ মিলিয়ন ডলার পর এই কিংবদন্তি। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তিনি আছেন ছয়ে।

৫. লাব্রন জেমস: আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা আরেক বাস্কেটবল খেলোয়াড় লাব্রন জেমস। মার্কিন ক্লাব লস এঞ্জেলস লেকার্সের জার্সিতে খেলেন তিনি। তার বার্ষিক আয় ৮৮.২ মিলিয়ন ডলার। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তার অবস্থান সেরা পাঁচে। জেমসকে বলা হয় প্লে-অফ পয়েন্টের রাজা। এলএ লেকার্সে আসার আগে ক্লিভল্যান্ড ক্যাভালায়ার্স ও মিয়ামি হিটের হয়ে খেলেছেন তিনি। জনপ্রিয় এই বাস্কেটবল খেলোয়াড় বার্ষিক বেতন পান ২৮.২ মিলিয়ন ডলার। তবে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার জেমসের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে।

 neymar psg barca deal

৪. নেইমার জুনিয়র: বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার নেইমার জুনিয়র। ২০১৭ সালে রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বার্সেলোনার কাছ থেকে তাকে দলে টানে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ২০১৩ সালে স্বদেশি ক্লাব সান্তোস ছেড়ে ইউরোপে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান এই স্ট্রাইকার। বার্সায় চার বছর থাকার পর তিনি নাম লেখান পিএসজিতে। এখানে বার্ষিক ৭০.৫ মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পান তিনি। এ ছাড়া ২৫ মিলিয়ন ডলার নেইমার পাচ্ছেন বিভিন্ন চুক্তি থেকে। সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তিনি আছেন চার নম্বরে।

৩. লিওনেল মেসি: তর্ক সাপেক্ষে তাকে বলা হয় সর্বকালের সেরা ফুটবলার। তিনি বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। সদ্য বিদায়ী মৌসুমটা বাজে কেটেছে তার। কিন্তু বরাবরের মতো এই মৌসুমেও যথেষ্ঠ ভারি হয়েছে মেসির পকেট। বার্ষিক ১০৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি। নেইমার সবচেয়ে দামি ফুটবলার হলেও বন্ধুর চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পান মেসি। এ বছর বার্সার কাছ থেকে ৭২ মিলিয়ন ডলার নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৩২ মিলিয়ন ডলার মেসি পেয়েছেন অন্যসব চুক্তি থেকে। বিশ্বজুড়ে ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয় করেন মেসি।

২. ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো: গত এক যুগের সেরা দুই ফুটবলারের একজন লিওনেল মেসি, অন্যজন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। দুজনের মধ্যে কে সেরা সেটা আরেক বিতর্ক। তবে আয়ের দিক থেকে মেসির চেয়ে রোনালদো এগিয়ে আছেন। ব্যবধানটা অবশ্য খুব বেশি নয়। বছরে ১০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন পর্তুগিজ যুবরাজ। যা মেসির চেয়ে এক মিলিয়ন ডলার বেশি। ইংল্যান্ড, স্পেন ঘুরে তিনি এখন খেলছেন জুভেন্টাসে। ক্লাব ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছু জেতা রোনালদো জাতীয় দল পর্তুগালকে জিতিয়েছেন দুটি শিরোপা। তার বার্ষিক বেতন অবশ্য মেসির চেয়ে কম- ৬০ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৪৫ মিলিয়ন ডলার রোনালদো আয় করেন অন্যসব চুক্তি থেকে। সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে তার ওপরে আছেন মাত্র একজন।

১. রজার ফেদেরার: বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ আয় করা ক্রীড়াবিদদের মধ্যে একচেটিয়া দাপট বাস্কেটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের। অথচ তাদের সবার ওপরে আছেন রজার ফেদেরার। সুইস এই মহাতারকা বিশ্বের সব খেলোয়াড়কে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আয়ের দিক থেকে। বার্ষিক ১০৬.৩ মিলিয়ন ডলার আয় করেন পুরুষ এককে সর্বোচ্চ কুড়িটি গ্র্যান্ডস্লাম জেতা ফেদেরার। টানা ৩০১ সপ্তাহ টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে রেখেছেন তিনি। ৩৯ বছর বয়সী এই সুপারস্টারের বার্ষিক বেতন আপনার ভাবনায় কিঞ্চিৎ হোঁচট খাওয়াবে। বছরে মাত্র ৬.৩ মিলিয়ন ডলার বেতন পান ‘ফেড এক্সপ্রেস’। আরেকটা তথ্য আপনার মাথা ঘুরিয়ে দেবে। স্পন্সর, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি থেকেই বার্ষিক এক শ মিলিয়ন ডলার আয় হয় ফেদেরারের!

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.