ধোনির পথে রায়না

শনিবার সন্ধ্যায় আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। অবসর ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ঝড় বয়ে যায়। তাকে ‍শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ক্রিকেটমহল। ধোনিকে নিয়ে লেখা একটা পোস্টে সানরাইজাইজার্স হায়দরাবাদ লিখেছে, ‘ক্রিকেটে অবসরের একদিন।’

তার মনে ধোনি একা নন, এদিন আরো একজন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে বিদায় নিয়েছেন! তিনি সুরেশ রায়না। ধোনির অবসরে অনেকটা আড়ালে চলে গেছে তার বিদায়ী বার্তা। আসলে ধোনির সিদ্ধান্তটাই প্রভাবিত করেছে রায়নাকে। কাল রাতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তদের দুঃসংবাদ দিয়েছেন তিনি।

ইন্সটাগ্রামে এক পোস্টে রায়না লিখেছেন, ‘এটা কিছুই না। কিন্তু আপনার সঙ্গে খেলাটা আনন্দদায়ক মাহি৭৭৮১। গর্বে অমার হৃদয় ভরে যাচ্ছে। আপনার এই যাত্রায় আমিও সঙ্গী হচ্ছি। ধন্যবাদ ভারত। জয় হিন্দ!’ ধোনি আর রায়নার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সমসাময়িক। তাদের বিদায়টাও হলো একই রকম।

অবশ্য ভারতীয় দলকে বিদায় জানালেও ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটে আইপিএলে খেলে যাবেন ধোনি ও রায়না। দুজনই এবারের আসরে খেলবেন চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে। ইতোমধ্যে এ মানিকজোড় চেন্নাইতে পৌঁছেছেন। আজ-কালের মধ্যেই আরব আমিরাতের উদ্দেশ্য দেশ ছাড়বেন তারা।

ভারতের হয়ে ১৩ বছরের অধ্যায়ে ৩২২টি ম্যাচ খেলেছেন রায়না। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন সংস্করণে সেঞ্চুরির বৃত্ত পূরণ করেন এই ব্যাটসম্যান। ২২৬টি ওয়ানডে এবং ৭৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ইতি টানেন তিনি।

ওয়ানডেতে ৫৬১৫ এবং টি-টোয়েন্টিতে ১৬০৫ রান এসেছে রায়নার ব্যাট থেকে। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারটা খুব সুখের হয়নি তার। মাত্র ১৮ ম্যাচেই থেমেছে লাল বলের ক্রিকেট যাত্রা। সাদা-পোশাকের ক্রিকেটে মাত্র ৭৬৮ রান করেছেন তিনি। এ ছাড়া পার্ট টাইম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৩৬, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে সমান ১৩টি উইকেট নিয়েছেন রায়না।

২০০৫ সালে ১৯ বছর বয়সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক হয় এই ব্যাটসম্যানের। টেস্টে অভিষেকের জন্য তাকে অপেক্ষা করতে হয়েছে আরো পাঁচ বছর। অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরি করার বিরল কীর্তি দেখান তিনি। এরপর এই সংস্করণে তিনি হারিয়ে গেছেন চোরাবালির স্রোতে। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আলো ছড়াতে থাকেন। ২০১১ সালে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম সদস্য ছিলেন রায়না।