‘ফুটবলের মাইকেল জর্ডান রোনালদো’

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর প্রতি জেসে লিংগার্ডের ভালো লাগা অনেক আগে থেকেই। পর্তুগিজ যুবরাজ যখন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মূল দলে খেলতেন তখন ক্লাবের একাডেমি থেকে বেড়ে উঠছিলেন ইংলিশ তারকা। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, রোনালদোর সঙ্গে খেলার সুযোগ হয়নি; অনেক আগেই ইংল্যান্ড ছেড়ে যান ‘সিআর সেভেন’।

তাতে অবশ্য রোনালদোর প্রতি ভালোবাসা এতটুকুও কমেনি বরং বেড়েছে। পর্তুগিজ উইঙ্গারকে ফুটবলের মাইকেল জর্ডান বলে আখ্যা দিলেন। মার্কিন কিংবদন্তি জর্ডান বাস্কেটবলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তারকা। নব্বই দশকে ছয়বার এনবিএ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন মার্কিন মহাতারকা। একচ্ছত্র আধিপত্যে তিনি গড়েছেন অসংখ্য কীর্তি।

বাস্কেটবলে জর্ডান যেমন এককরাজ করেছেন তেমনি ফুটবলে রোনালদোকে সেভাবে দেখছেন লিংগার্ড। মঙ্গলবার রাতে স্কাই স্পোর্টসকে ম্যানইউ ফরওয়ার্ড বলেছেন, ‘আমি রোনালদোর কথা বলছি। সে তার ক্যারিয়ারে সবকিছু অর্জন করেছে। ক্লাবের হয়ে অনেক শিরোপা জিতেছেন। আমার মতে তিনি ফুটবলের সত্যিকারের কিংবদন্তি। তিনি ফুটবলের মাইকেল জর্ডান।’

ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ লিগের তিনটিতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রোনালদো। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পক্ষে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে স্প্যানিশ লা লিগা এবং জুভেন্টাসের জার্সিতে ইতালিয়ান সিরি’এ লিগ জিতেছেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনটি ক্লাবের হয়ে সাতবার লিগ জয়ের কীর্তি গড়েছেন রোনালদো।

জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে এই উইঙ্গার স্বাদ পেয়েছেন ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ এবং উয়েফা নেশনস লিগের। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে পাঁচবার বর্ষসেরার মুকুট জেতেন রোনালদো। প্রিয় এই ফুটবলারের সতীর্থ হিসেবে কখনো খেলতে পারেননি লিংগার্ড। তবে ‘সিআর সেভেনে’র প্রতিপক্ষ হিসেবে কয়েকবার খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ইউনাইটেডের ইংলিশ ফরওয়ার্ডের।

সেইসব স্মৃতি রোমন্থন করলেন লিংগার্ড, ‘আমি কয়েকবার তার বিরুদ্ধে খেলেছি। তিনি আমাকে কখনো সমস্যায় ফেলেননি। সে যখন প্রথমবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে আসে তখন আমার বয়স ছিল ১১ কিংবা ১২। আমরা ডিভিডি প্লেয়ারে তার দক্ষতা দেখতাম এবং শিখতাম। যখন প্রথমবার আমি তাকে দেখেছিলাম তিনি অনেক শুকনো ছিলেন।’