‘সেঞ্চুরি’ হলো না অমর কীর্তির নায়কের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করা সব ব্যাটসম্যানেরই স্বপ্ন। কিন্তু একটি নয়, দুটি নয়, তিনটি নয় পরপর পাঁচ ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন স্যার এভারটন উইকস! ক্যারিবীয় মহানায়কের অমর কীর্তি এখনো অক্ষত আছে। হয়তো আরো বহু বছর টিকে থাকবে রেকর্ডটা। কিন্তু থেমে গেল সেই কিংবদন্তির জীবনের চাকা।

সেঞ্চুরির আভাস দিয়েও ৯৫ বছর বয়সে ওপারে চলে গেলেন উইকস। বুধবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন ক্যারিবীয় সাবেক ব্যাটসম্যান। দুঃসংবাদটা যে, যে কোনো সময় আসতে পারে এমন মানসিক প্রস্তুতি অবশ্য নিয়ে রেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। গত বছরের জুন থেকে হৃদরোগের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছিলেন উইকস। শেষ পর্যন্ত থামল লড়াই।

তিন ডব্লিউর দুজন- স্যার ফ্র্যাঙ্ক ওরেল এবং স্যার ক্লাইড ওয়ালকট অবশ্য আগেই চলে গেছেন। কাল তাদের সঙ্গ নিলেন উইকসও। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের ব্যাটিং কিংবদন্তিদের তালিকা তৈরি করলে তার আগে ও পরে শুধু চারটি নামই আসতে পারে। সেই চারজন হলেন- ভিভ রিচার্ডস, জর্জ হেডলি, গ্যারি সোবার্স ও ব্রায়ান লারা।

ষষ্ঠ ইনিংসেও শতকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন উইকস। কিন্তু আভাস দিয়েও ৯০ রানে আউট হয়ে যান ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। এবার জীবনের ইনিংসেও শতক বঞ্চিত হলেন তিনি। পুরুষ ক্রিকেটে আয়ু প্রাপ্তদের তালিকায় উইকস থাকলেন তিনে। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার জন ওয়াটকিনস এবং ইংল্যান্ডের ডন স্মিথ- দুজনই ৯৭ বছর বয়সে পরলোক গমন করেন।

উইকসের মৃত্যুতে শোকের চাদরে ঢেকে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব। কাল রাতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এক শোকবার্তায় লিখেছে, ‘শোকে আমাদের হৃদয় ভারী হয়ে উঠেছে। আমরা একজন আদর্শ, একজন কিংবদন্তি এবং আমাদের নায়ককে হারিয়েছি। আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি তার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং বিশ্বজুড়ে থাকা অনুসারিদের।’

১৯৪৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল উইকসের। দশ বছর পরই অবসরে যান তিনি। ১৯৯৫ সালে ‘নাইটহুড’ খেতাব পেয়েছিলেন ক্যারিবীয় সাবেক পার্ট টাইম লেগ স্পিনার। বার্বাডোজে জন্ম নেওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ৪৮ টেস্টে ৪৪৫৫ রান করেন। ব্যাটিং গড় ৫৮.৬১। উইকস ক্যারিয়ার সেরা ২০৭ রান করেছিলেন।