বায়ার্নের রাতে বিধ্বস্ত ডর্টমুন্ড

জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপা নির্ধারণ হয়ে গেছে দুই রাউন্ড আগেই। তাতে লিগ শেষের রোমাঞ্চ ধূসর হয়ে গেছে। মৌসুমজুড়ে লড়াই করেও বায়ার্ন মিউনিখকে সিংহাসন থেকে সরাতে পারেনি বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, লাইপজিগ বরুসিয়া মনচেনগ্লাডব্যাচ ও বায়ার লেভারকুজেন। ১১ দিন আগেই বাভারিয়ানরা শেষ করেছে শিরোপা ধরে রাখার সফল অভিযান।

চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন প্রত্যাশিত জয় তুলে নিয়েছে শেষ রাউন্ডেও। শনিবার রাতে ১০ জনের ভলফসবুর্গকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাভারিয়ান ক্লাবটি। একই ব্যবধানে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে হফেনহেইম। নিজেদের মাঠে ডর্টমুন্ড যে এভাবে আত্মসমার্পণ করবে সেটা ছিল ভাবনারও বাইরে। তাদের একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন আন্দ্রেজ ক্রামারিক। ডর্টমুন্ডের জালে চারবার বল পাঠিয়েছেন এই ফরওয়ার্ড।

বায়ার্ন মিউনিখের চার গোল অবশ্য করেছেন ভিন্ন চারজন। চার মিনিটে গোলের শুরু করেন কিংসলে কোম্যান। ৭৯ মিনিটে ইতি টানেন টমাস মুলার। মাঝের গোল দুটি এসেছে মিকায়েল চুইসেন্স ও রবার্ট লেভানডফস্কির সৌজন্যে। দাপুটে এই জয়ে ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট নিয়ে জার্মান বুন্দেসলিগার মৌসুম শেষ করল ‍টানা আটবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। রানার্সআপ হওয়া ডর্টমুন্ড ১৩ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকল।

বাভারিয়ানদের এই জয়ের মধ্যমনি মুলার। এদিন তার গোলটাই ছিল এই মৌসুমে লিগে বায়ার্নের শততম গোল। মুলার নিজে গোল করার আগে সতীর্থ কোম্যানকে দিয়েও করিয়েছেন একটি। তাতে দারুণ একটা রেকর্ড হলো জার্মান স্ট্রাইকারের। লিগের এক মৌসুমে কোনো ফুটবলার হিসেবে সর্বোচ্চ ২১টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।

লিগের এই মৌসুমে অবনমন হয়েছে ফর্চুনা ডুসেলডর্ফ (৩১) ও প্যাডারবর্নের (২০)। কাল রাতে কোলনকে ৬-১ (২০) গোলে চূর্ণ করে এ যাত্রায় অবনমন এড়িয়েছে ওয়ের্ডার ব্রেমেন। বায়ার্ন-ডর্টমুন্ডের মতো আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগের মূলপর্বের টিকিট নিশ্চিত হলে লাইপজিগ (৬৬) ও মনচেনগ্লাব্যাচের (৬৫)। পাঁচে থাকা বায়ার লেভারকুজেন (৬৩) খেলবে ইউরোপা লিগ। হফেনহেইম (৫২) ও ভলফসবুর্গ (৪৯) খেলবে ইউরোপা লিগের প্লে-অফ রাউন্ড।