ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন কুতিনহো!

বড় আশা নিয়ে লিভারপুল ছেড়ে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ফিলিপ্পে কুতিনহো। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের আশা শেষ পর্যন্ত নিরাশায় পরিণত হয়েছে। বার্সায় দুই বছর কাটালেও ক্লাবের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। এ কারণে ২০১৯ সালে তাকে ধারে খেলতে বায়ার্ন মিউনিখে পাঠিয়ে দেয় কাতালান জায়ান্টরা।

বাভারিয়ানদের হয়ে এই মৌসুমে খুব একটা খারাপ করেননি কুতনিহো। তবু তাকে পাকাপাকিভাবে দলে টানতে গড়িমসি করেছে জার্মান জায়ান্টরা। কারণ কুতিনহোর দায় ছাড়াতে বার্সাকে মোটা অংকের অর্থ পরিশোধ করতে হতো বার্সাকে। মাঠের পারফরম্যান্স এবং কুতিনহোর বয়স বিবেচনায় স্বাভাবিকভাবেই ঝুঁকিটা নেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ।

এর মধ্যেই একটা খবর দিলেন বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো। তার দাবি কুতিনহোকে চেয়ে বার্সাকে প্রস্তাব পাঠিয়েছে টটেনহাম হটস্পার। দলটির পর্তুগিজ কোচ হোসে মরিনহোই নাকি ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারকে চেয়েছেন। বার্সা এবং টটেনহাম দুইপক্ষই নাকি চুক্তিতে রাজি আছে। যে কোনো সময় আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

কুতিনহো অবশ্য ইংলিশ ফুটবলে ফেরার আশা করছেন অনেকদিন ধরেই। সেখানে তার অগ্রাধিকারে ছিল সাবেক ক্লাব লিভারপুল। মার্সিসাইডের এই ক্লাবের হয়ে পাঁচ বছর খেলেছেন কুতিনহো। যদিও তাকে ফেরাতে রাজি হয়নি লিভারপুল। তাই ইংলিশ আরেক ক্লাব নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কুতিনহো।

তবে বার্সা তারকা যে ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমাণ করছে আরেকটা খবর। ব্রিটিশ কয়েকটি মিডিয়ায় এমন খবরও প্রচার হয়েছে, কুতিনহোকে দলে টানার আগ্রহ আছে আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। বার্সার সঙ্গে দর কষাকষিও হয়েছে ক্লাবগুলোর। কাতালানরা অবশ্য বড় অংকই দাবি করে বসেছে। কারণ ১৪৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাকে কিনেছিল বার্সা। যা ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চুক্তি!

প্রসঙ্গত, বার্সার হয়ে ৭৬টি ম্যাচ খেলেছেন কুতিনহো। যেখানে ২১ গোলের পাশাপাশি ১১টি অ্যাসিস্ট রয়েছে তার। এই মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ৩২টি ম্যাচ খেলে নয়টি গোল করেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এ ছাড়া সতীর্থদের আটটি গোলে অবদান রেখেছেন। তাকে পাকাপাকিভাবে দলে টানতে বার্সাকে দিতে হতো ১২০ মিলিয়ন ইউরো। অংকটা বিশালই বলা যায়।