নতুন গবেষণা: করোনা মোকাবেলায় কার্যকর ভিটামিন ‘কে’

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি। চলছে শতাধিক গবেষণা। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পাশাপাশি কার্যকর একটি চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধানেও চলছে নানা অনুসন্ধান। তেমনই এক গবেষণা থেকে জানা গেল, করোনায় তীব্রভাবে আক্রান্ত রোগীদের ভিটামিন ‘কে’ যুক্ত খাবার দেয়ার পর অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

দ্য গার্ডিয়ানের বরাতে জানা যায়, নেদারল্যান্ডসের নিজমেগান শহরে অবস্থিত উইলহেলমিনা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষকরা করোনার কারণে মৃত্যু ও সুস্থতার হার বিবেচনা করেছেন।

গবেষণায় দেখা যায়, আইসিউতে থাকা মুমূর্ষু রোগীদের ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবার পালং শাক, ডিম, নীল পনির দেয়ার পর তাদের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।

হাসপাতাল থেকে বের করে নেয়া হচ্ছে এক রোগীকে

জানা যায়, করোনাভাইরাস দেহে প্রবেশের পর রক্ত জমাট বাঁধিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ফুসফুসে থাকা ইলাস্টিক ফাইবারগুলোর ক্ষয় সৃষ্টি করে। ভিটামিন কে রক্তে জমাট বাধা থামিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে ফুসফুসের বিভিন্ন রোগও দানা বাঁধতে দেয় না। নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা এই বিষয়ক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।

গবেষণায় নেতৃত্ব দেয়া ডাচ গবেষক ডক্টর রব জ্যানসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে বলাই যায়, ভিটামিন কে সমৃদ্ধ খাবারের ওপর সবার জোর দিতে হবে। এটি রক্ত জমাট বাঁধা থামিয়ে দেয়। এছাড়া ওয়ারফারিন নামে একটি ওষুধও আছে যা ভিটামিন কে সমৃদ্ধ।

তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্ব একটি ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। আমাদের কাছে একটি উপায় আছে যার কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই প্রক্রিয়া সবার জন্যই নিরাপদ।

তিনি আরো বলেন, পালং শাক, ফুলকপি, সবুজ সবজি, ব্লুবেরি, বিভিন্ন ফলমূলে কে১, কে২ ভিটামিন রয়েছে। সেইসঙ্গে ডাচ পনির ও ফ্রেঞ্চ পনিরেও রয়েছে যথেষ্ট ভিটামিন কে।