মেসিদের প্রশংসায় টম

করোনাভাইরাসের ছোবলে টালমাটাল পুরো দুনিয়া। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে উদ্বেগজনক হারে। লম্বা হচ্ছে লাশের মিছিল। ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিশ্বজুড়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেক ফুটবলার। তাদের এমন মহৎ উদ্যোগে মুগ্ধ ক্রীড়া চিকিৎসক টম বেটস। লিওনেল মেসিদের এই মহৎ উদ্যোগকে বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবে দেখছেন তিনি।

গেল ৩০ মার্চ বার্সেলোনা ফুটবলারদের পারিশ্রমিকের ৭০ শতাংশ কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কর্তনকৃত বিপুল পরিমাণ এই অর্থ দান করা হয় করোনাভাইরাস মোকাবেলার ত্রাণ তহবিলে। পরে বার্সেলোনা ফুটবলারদের পদাঙ্ক অনুকরণ করেন স্প্যানিশ আরেক ক্লাব অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

শুধু স্প্যানিশ জায়ান্টরাই নয়, এখন বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার ক্লাবের লাখ লাখ ফুটবলার করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবেলায় সামর্থ্য মতো অনুদান দিচ্ছেন। যার শুরুটা করেছিলেন বার্সেলোনা ফুটবলাররা। দলীয়ভাবে যেমন মেসিরা তেমনি, ব্যক্তিগতভাবে করোনা মহামারি প্রতিরোধে সবার আগে এগিয়ে এসেছিলেন ওয়েন রুনি।

তাদের ভূয়সী প্রশংসায় মেতে উঠেছেন বিখ্যাত ক্রীড়া চিকিৎসক টম। আজ স্ট্যাটস পারফর্মকে তিনি বলেছেন, ‘এগিয়ে আসার পথটা দেখিয়েছিলেন মেসি ও রুনি। তারা সাড়া বিশ্বের ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করেছেন। এরপর সবাই এগিয়ে আসতে শুরু করেন। এটাকে আমরা বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি।’

টম আরো বলেছেন, ‘মেসিরা প্রথম ফুটবলার যারা বেতনের ৭০ ভাগ করোনা মোকাবেলার তহবিলে দান করার সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বার্সেলোনায় আমি মেসি এবং পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। তারা যখন এমন মহৎ উদ্যোগে নেতৃত্ব দেন, তখন সেটা আমাকে মোটেও বিস্মিত করে না।’

টম আলাদাভাবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক ফুটবলার রুনির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অনেক দিক থেকেই ওয়েন (রুনি) একজন দূত হিসেবে কাজ করেন। সে এই খেলাটার নেতা। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সে যা অর্জন করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এখনো সে দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করে যাচ্ছে। তা দেখে তরুণরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।’