হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন, কী করবেন না

হার্টে রক্ত সঠিকভাবে চলাচল করতে না পারলে বা পরিমাণমত অক্সিজেন না পেলে হার্টের পেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এর ফলেঈ হয় হার্ট অ্যাটাক। প্রতিবছর হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করে। তাই এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।

অসাবধানতা, অসতর্কতা এবং নানা শারীরিক জটিলতা হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী। কঠোরভাবে নিয়মকানুন মেনে চললেই হার্ট এ্যাটাকের পরও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব।

হার্ট অ্যাটাক হলে যা করবেন

হাসপাতাল থেকে ফেরার পর ঘরেই হালকা হাঁটাহাঁটি ও অল্প ব্যায়াম শুরু করা ভালো হবে। এরপর ধীরে ধীরে বাইরে হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করা উচিত। শুরুর দিকে ৫-১০ মিনিট, পরে প্রতি সপ্তাহে ৫-১০ মিনিট করে হাঁটাচলা ও ব্যায়ামের সময় বাড়াতে হবে। তবে ব্যায়ামের ফলে বুকে ব্যথা অনুভূত হলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হার্ট অ্যাটাকের পর শারীরিক অন্যান্য জটিলতা না দেখা দিলে উঠা বসা, অল্প হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। সঠিক পরামর্শে সামান্য হাঁটা চলা রোগীর জন্য ভালো। তবে রোগীকে অবশ্যই আগের চাইতে বেশি বিশ্রাম নিতে হবে। শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ঠিক থাকলে হার্ট অ্যাটাকের দেড় মাস পর থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম করুন। তবে আগের মতো কাজের চাপ নেয়া যাবে না এবং প্রয়োজনমত বিশ্রাম নিতে হবে।

হার্ট অ্যাটাকের পরপর তরল খাবার, এরপর নরম খাবার এবং পরবর্তীতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। পুষ্টিকর খাবার এবং ফলমূল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। বিশেষ করে শাক সবজি বেশী খেতে হবে। হার্ট অ্যাটাকের পর অন্তত ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত রুটিনমাফিক খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম ও ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। এর বাইরে যাওয়া যাবে না।

হার্ট অ্যাটাকের পর যা করবেন না

ভারী কাজ ও ব্যায়াম করবেন না। কারন এতে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত কাজ ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। বিষণ্ণ হওয়া যাবে না, সবসময় হাসিখুশি থাকুন।

ফ্যাট, তেল-চর্বি, ক্যালরি ও কোলেস্টরল সমৃদ্ধ খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না। রেড মিটকেও না বলুন।

অনেকেই শারীরিক অবস্থার একটু উন্নতি হলেই ডাক্তারের পরামর্শ মানতে চান না বা রুটিন না মানার মত ভুল করেন যা মোটেও উচিত নয়। কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই নিজের ঔষধ কমিয়ে ফেলেন অনেকেই। এই কাজটি ভুলেও করবেন না। মনে রাখবেন, আপনার সর্তকতাই আপনার সুস্থতা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

কিডনিতে পাথর: ভয় না পেয়ে দেখুন কী করবেন

সবচেয়ে বেশি উপকার হাঁটাহাঁটিতে

অতিরিক্ত ঘুম আপনার জন্য বিপজ্জনক