২৩৩ রানে থামলো বাংলাদেশ

(৬টা ৪২ মিনিট): প্রথম দুই সেশনে ছয় উইকেট হারিয়ে দুই শ'র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মোহাম্মদ মিঠুন ও তাইজুল ইসলামের ব্যাটে স্কোর যখন অবলিলায় দুই শ পেরিয়ে গেল, তখন মনে হচ্ছিল আড়াই শ’ও বুঝি পেরুতে পারবে মুমিনুল হকরা। তা আর হলো না, রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ পর্যন্ত থেমেছে ২৩৩ রানে।

সপ্তম উইকেটে মিঠুন-তাইজুলের ৫৩ রানের জুটিটি ভাঙলে তারপর আর দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। এই জুটি ভাঙে দলীয় ২১৪ রানের মাথায়, অর্থাৎ মাত্র ১৯ রানে শেষ তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছেন মোহাম্মদ মিঠুন। নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ৪৪, লিটন দাস করেন ৩৩ রান। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি চার উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আব্বাস ও হারিস সোহেল।

বাংলাদেশ অলআউট হয় ৮২.৫ ওভারের মাথায়। এরপর আর প্রথমদিনের খেলা না চালানোর সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা।  ফলে আগামীকাল শনিবার পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নামবে। 

রাওলপিন্ডিতে মিঠুনের একক লড়াই (৬টা ০৫ মিনিট): রাওলপিন্ডিতে টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬১ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে দুই শ’র আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিলো বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুন, তাইজুল ইসলাম সেই শঙ্কা সত্য হতে দেননি। সপ্তম উইকেটে ৫৩ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে বাংলাদেশের স্কোর দুই শ পার করেছেন তারা।

অবশ্য এই জুটি বেশি দূর এগোয়নি। ইয়াছির শাহকে হাঁকাতে গিয়ে ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হয়েছেন তাইজুল। তবে মোহাম্মদ মিঠুন এক প্রান্তে ছিলেন অবিচল। ১৩৪ বল খেলে ৬ চার ১ ছয়ে ৫৯ রান করে অপরাজিত আছেন মিঠুন। ৮১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৯। মিঠুনের সঙ্গে পেসার আবু জাহেদ রাহি শূন্য রানে অপরাজিত। তার আগে রুবেল হোসেন ব্যক্তিগত ১ রানে আউট হন।

২০০ হবে তো? (৪টা ৫৪ মিনিট): রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস দুই শ পেরুবে তো? এই মুহূর্তে এটাই বড় প্রশ্ন। ছয় উইকেটে ১৭২ রান তুলে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত আছেন।

চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে লিটন কুমার দাসকে হারায় বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর পর নামজুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ ফিরলে তারপর ভালোই এগুচ্ছিলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন এই দুই জন। কিন্তু পার্ট টাইম বোলার হারিস সোহেলের দারুণ এক ডেলিভারি এই জুটি ভেঙে দেয়। ৪৬ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন লিটন।

চা বিরতির সময় ৩০ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ মিঠুন। ২২ বলে ১ রান করে তার সঙ্গে অপরাজিত আছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন শাহ আফ্রিদি তিনটি ও মোহাম্মদ আব্বাস দুটি উইকেট তুলে নেন।

শাহিনে ধুঁকছে বাংলাদেশ (৩টা ৩৮ মিনিট): রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। মাত্র ৩ রানে দুই ওপেনারকে হারায় মুমিনুল হকের দল। প্রায় একই ঘটনা ঘটল লাঞ্চের পর। মাত্র ১২ রানের ব্যবধানে দারুণ খেলতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে হারায় বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ আব্বাসের বলে ক্যারিয়ার সেরা ৪৪ রান করে ফেরেন শান্ত। তার অল্প সময় পর শাহিন শাহ ফেরান মাহমুদুল্লাহকে। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার ৪৮ বল খেলে ২৫ রান করে ফিরেছেন। ৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪০/৫। ১৮ রানে ব্যাটিং করছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তার সঙ্গে ১৬ রানে অপরাজিত লিটন কুমার দাস। বাংলাদেশের পতন হওয়া পাঁচ উইকেটের তিনটিই তুলে নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

লাঞ্চের পর আরেক ধাক্কা (২টা ৫০ মিনিট): শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে বেশ ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। তিন উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় মুমিনুল হকের দল। দুর্দান্ত খেলছিলেন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু লাঞ্চ ব্রেক শেষ করে এসেই সেই শান্তকে হারাল টাইগাররা। 

মোহাম্মদ আব্বাসের লাফিয়ে উঠা বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন শান্ত। তার আগে অবশ্য ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন বাঁ-হাতি এই তরুণ। ১১০ বল খেলে ৬টি চারে ৪৪ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৩৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ঠিক ১০০। ২০ রানে ক্রিজে আছেন অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ। তার সঙ্গে ২ রানে অপরাজিত মোহাম্মদ মিঠুন।

লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের ৯৩ (২টা ০৫ মিনিট): দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবাল ফিরে গেছেন শুরুতেই। অধিনায়ক মুমিনুল হক প্রতিরোধের সম্ভাবনা জাগিয়ে বেশি দূর এগুতে পারেননি। তবে তিনে নামা তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ খেলছেন। ওদিকে, ব্যাটিং অর্ডার উন্নতি করে পাঁচে নামা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এখনো অবিচল। সব মিলিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে তিন উইকেটে ৯৩ রান তুলে লাঞ্চে গেছে বাংলাদেশ।

লাঞ্চের আগে ১০৪ বল খেলে ৪৪ রানে অপরাজিত শান্ত। তার সঙ্গে ২৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

শান্তর প্রতিরোধ, মুমিনুলের বিদায় (১২টা ৫০ মিনিট): অভিষেকের শুরুটা বড্ডই বাজে কাটলো সাইফ হাসানের। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুই বল খেলেই আউট হয়েছেন তরুণ ওপেনার। অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল ফিরেছেন তিন রান করে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ তিন রানে হারায় দুই ওপেনারকে। তবে এরপর দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত।

কিন্তু এই জুটি অবশ্য বেশি দূর এগোয়নি। দলীয় ৬২ রানের মাথায় ৩০ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন মুমিনুল। তবে এক প্রান্ত থেকে তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ খেলছেন। ৭৯ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত এই বাঁ-হাতি ক্রিকেটার। ২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৭৭/৩। শান্তর সঙ্গে এখন ক্রিজে আছেন মাহমুদুল্লাহ।

শুরুতেই বিরাট ধাক্কা (১১টা ৫১ মিনিট): রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে টস জিতে নিজের দলের বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছেন পাক অধিনায়ক আজহার আলি। টেস্টের শুরুতে নতুন বল পেয়ে সুযোগটা দুর্দান্তভাবেই কাজে লাগালেন পাকিস্তানি পেসাররা। শুরুতেই বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তামিম ইকবালকে ফিরিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে শূন্য রানে ফিরেছেন সাইফ। তামিম ফিরেছেন দ্বিতীয় ওভারে। মোহাম্মদ আব্বাসের বলে তিন রান করে আউট হয়েছেন গত সপ্তাহে ঢাকার মাঠে বিসিএলে ট্রিপল সেঞ্চুরি করা তামিম। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০/২। ক্রিজে আছেন মুমিনুল হক ও তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত।

সাইফকে নিয়ে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ (১০টা ৫১ মিনিট): রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাক অধিনায়ক আজহার আলি। অর্থাৎ বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিংয়ে করতে নামবে। তরুণ ওপেনার সাইফ হাসানের অভিষেক হচ্ছে আজ।

তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং করতে নামবেন সাইফ। তিন নম্বরে আছে আরেক তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। তাইজুল ইসলাম বাংলাদেশ একাদশে একমাত্র স্পিনার। আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেনের সঙ্গে পেস আক্রমনে রাখা হয়েছে অভিজ্ঞ রুবেল হোসেনকে। তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান জায়গা পাননি একাদশে।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন।

পাকিস্তান একাদশ: শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলি (অধিনায়ক), বাবর আজম, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ইয়াছির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শাহ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।