প্রোটিয়াদের নতুন দিনের সূচনা!

গত বছর আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ পরবর্তী পুনর্বাসন প্রক্রিয়াতেও তাই। টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকে প্রোটিয়ারা। তা হোক ঘরের মাঠ কিংবা বিদেশে। এই দক্ষিণ আফ্রিকাকে কেমন যেন অচেনা মনে হচ্ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে।

সেই দলটাই এখন স্বরূপে। মঙ্গলবার রাতে কেপ টাউনে নতুন নেতৃত্বে নতুন শুরু হলো দক্ষিণ আফ্রিকার। ইংল্যান্ডকে দুমড়ে-মুচড়ে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটা জিতে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। ইংলিশদের ২৫৮ রানে বেঁধে ফেলার পর কুইন্টন ডি ককরা জিতেছে হেসেখেলেই; সাত উইকেট ও ১৪ বল অক্ষত রেখে। শুক্রবার ডারবানে দ্বিতীয় ম্যাচ।

স্বাগতিকদের জয়ের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ডি কক ও টেম্বা বাভুমা। দলীয় ২৫ রানে রিজা হেন্ড্রিক্স আউটের পর এই দুজনই দলকে পথ দেখান। অধিনায়কোচিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডি কক। বাভুমার আফসোস, দুই রানের জন্য শতকবঞ্চিত হয়েছেন তিনি। শেষ দিকে রসি ফন ডার ডুসেন ৩৮ রানে অজেয় ছিলেন।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের প্রায়সব ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ইনিংসের শেষ দিকে দলীয় সর্বোচ্চ ৮৭ রান করে আউট হয়ে যান জো ডেনলি। আটে নেমে ৪০ রান করেন ক্রিস ওকস। এ ছাড়া ওপেনার জেসন রয়ের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ রান।

এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দলের সেরা পেসার কাগিসো রাবাদাকেও। এই দুজনের অনুপস্থি বুঝতেই দেননি ডি ককরা। বরং নতুন নেতৃত্বে নতুন দিনের সূচনা হলো প্রোটিয়াদের।

বিশ্বকাপের পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে কি দুর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার দেখা মিলল। জয় দিয়ে উপলক্ষ্যটা রাঙিয়ে নিয়েছেন ডি ককরা। কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। রান তাড়ার কাজটা সহজ হয়ে গেছে ‍তৃতীয় উইকেটে ডি কক-বাভুমার ১৭৩ রানের জুটিতে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ৫০ ওভার, ২৫৮/৮

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৭.৪ ওভার, ২৫৯/৩

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী

ম্যাচ সেরা: কুইন্টন ডি কক

দ্বিতীয় ওয়ানডে: ৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার