তামিমের দুর্দান্ত ডাবল সেঞ্চুরি

গত শ্রীলঙ্কা সফরের পর স্বেচ্ছা বিশ্রাম, পরিবারিক কারণে ছুটি ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় পাঁচ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন তামিম ইকবাল। লম্বা বিরতি থেকে ফিরে তামিম অবশ্য রান পাচ্ছিলেন কিন্তু স্ট্রাইকরেট মন মতো হচ্ছিল না। ১২ ম্যাচে ৩৯৬ রান করে গত বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সপ্তম সেরা রান সংগ্রাহক তামিম। স্ট্রাইকরেট ভালো না হওয়ার কারণে তারপরও সমালোচকদের রোষানলে পড়তে হয়েছে। পাকিস্তান সিরিজেও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।

দুই ম্যাচে ১০৪ রান করে সিরিজের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম। স্ট্রাইকরেট একটু কম হওয়ায় তারপরও সমালোচনায় জর্জরিত হতে হয়েছে তাকে। সমালোচনার বোঝা মাথায় নিয়েই আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) দুর্দান্ত এক ডাবল সেঞ্চুরি করলেন তামিম।

স্ট্রাইকরেট নিয়ে কথা উঠাতেই হয়তো তামিম আজ টেস্ট ম্যাচ খেললেন অনেকটা ওয়ানডে মেজাজে। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন বাঁ-হাতি ওপেনার। পূর্বাঞ্চলের ইনিংস শুরু করতে নেমে মধ্যাঞ্চলের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও শহিদুল ইসলামকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন। ১২৬ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করা তামিম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন ২৪২ বলে। সারাদিন ব্যাটিং করে ২২২ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন তামিম।

২ উইকেটে ৩৯৫ রান তুলে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পূর্বাঞ্চল। তামিম তখন ২৮১ বল খেলে ৩০টি চারের সাহায্যে ২২২ রানে অপরাজিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তামিমের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস এটি। দেখা যাক, কাল ক্যারিয়ারের প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পান কিনা।

তামিমের দিনে পূর্বাঞ্চলের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল হকও। ১৯৪ বল খেলে ১২ চার ১ ছয়ে ১১১ রান করেছেন মুমিনুল। তামিম, মুমিনুলের দিনে ১৯ ওভারে ৮৭ রান খরচায় উইকেটশূন্য থাকেন মধ্যাঞ্চলের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। ১৪ ওভারে ৮৩ রান খরচায় শহিদুল ইসলামও থাকেন উইকেটশূন্য। প্রথম ইনিংস মধ্যাঞ্চলের সংগ্রহ ২১৩ রান।