বড় ধরনের ধাক্কা খেলেন মোদি

ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট বা এনডিএ জোটে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ইস্যুসহ নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের জেরে জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত এবং পুরনো দুই শরিক অকালি দল ও জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)।

দেশটির রাজধানী দিল্লির বিধানসভার নির্বাচন আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। মোদি সরকারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনের আগমুহূর্তে ক্ষমতাসীন জোটের এ ভাঙন বিজেপি এবং মোদি সরকারের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকরা।

ওয়ান ইন্ডিয়া নিউজ ও কলকাতা ২৪-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত ও মুসলিম-বিদ্বেষী নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) ইস্যুতে বিজেপি জোটে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এর জেরে ভোটব্যাংক হারানোর ভয়ে বাধ্য হয়ে ক্ষমতাসীন জোট ছাড়তে চাইছে পুরনো শরিকরা। এর অংশ হিসেবেই অকালি দল ও জননায়ক জনতা দল জোট ছেড়েছে।

সোমবার অকালি দলের অন্যতম নেতা মনজিন্দর সিং শীর্ষা এনডিটিভিকে বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। তা হলো এ আইন থেকে মুসলিমদের বাদ দেয়া যাবে না। এ দলটির অবস্থান পরিষ্কার করা হলেও জননায়ক জনতা পার্টি এখনো বিজেপির ছাড়ার বিষয়টি স্পষ্ট করেনি। তবে হরিয়ানায় বিজেপির কাছে অন্তত ১২টি আসন দাবি করেছিল জেজেপি। তা না পেলেই জোট ত্যাগের ঘোষণা দিতে পারে দীর্ঘদিনের শরিক দলটি।

বলা হচ্ছে, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি জোটে দ্বন্দ্ব এখন তুঙ্গে। ২০১৫ সালে এ নির্বাচনে তিনটি আসনে বিজেপির পদ্ম প্রতীকে ভোট করলেও এবারের নিজেদের দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা নিয়ে ভোচ করতে চায় আকলি দল। বিজেপি এ মানতে না পারায় জোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।

তবে বিজেপির জন্য কিছুটা স্বস্তি জুগিয়েছে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) ও লোক জনশক্তি পার্টির (এলজেপি) নতুন করে এনডিএ জোটে ভেড়ায়। দিল্লির নির্বাচনে জেডিইউ দু’টি ও এলজেপি একটি আসনে লড়বে। অন্যদিকে বিজেপি জোটের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) সঙ্গে মিলে লড়বে কংগ্রেস। দিল্লি বিধানসভার ৭০ আসনের মধ্যে চারটিতে আরজেডি ও বাকিগুলোতে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস।