শেষ তিন ওভারের তাণ্ডব

জিতলেই স্বপ্নের ট্রফি। এই ম্যাচটা শুরুর আগেই একবার হেরে বসেছে রাজশাহী রয়্যালস। আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে হেরে নামতে হয় ব্যাটিংয়ে। খুলনা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সিদ্ধান্তটা সময়োপযোগীই ছিল। ইনিংসে দীর্ঘ সময় চেপে রেখে লক্ষ্যটা প্রায় নাগালের রাখার চেষ্টায় ছিল খুলনা।

কিন্তু শেষ তিন ওভারে পাল্টে গেল দৃশ্যপট। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এলো রাজশাহী কিংস। ১৭ ওভার শেষে ১১৬ রান তোলা রাসেলরা দেড় শ তুলতে পারবে কিনা তানিয়েই জেগেছিল সশংয়। সেখানে  তারা রাজশাহী স্কোরবোর্ডে যোগ করল ১৭০ রান! শঙ্কাটা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনের ব্যাট হঠাৎই হয়ে উঠল তরবারি।

যা দিয়ে খুলনার বোলারদের কচুকাটা করলেন তারা। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রবি ফ্রাইলিঙ্ককে দিয়ে তাণ্ডবের শুরু। ওই ওভারে নওয়াজ নিলেন ২১ রান। পরের ওভারে মোহাম্মদ আমিরকে বেধরক পিটিয়ে রাসেল-নওয়াজ মিলে যোগ করলেন আরো ১৮ রান। শেষ ওভার বোলিং করতে আসা শফিউল ইসলামেরও শেষ রক্ষা হলো না। দারুণ বোলিংয়ের পরও তিনি দিলেন ১৫।

শেষ তিন ওভারের তাণ্ডবেই রাজশাহী রয়্যালস পেয়ে গেছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। ওই তিন ওভারে রাসেল-নওয়াজ করেছেন ৫৪ রান। নির্ধারিত কুড়ি ওভার শেষে রাসেলদের সংগ্রহ দাঁড়ায় চার উইকেটে ১৭০ রান। আসলে পরিস্থিতিই রাজশাহীকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিল। লিটন দাসের মন্থর গতির ব্যাটিং এর জন্য দায়ী।

২৮ বলে একটি করে চার ছক্কায় মাত্র ২৫ রান করেছেন তিনি। আরেক ওপেনার আফিফ হোসেন আট বলে নিলেন ১০ রান। শোয়েব মালিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৩ বলে নয় রান। এই ত্রয়ীর প্রস্তর যুগের ব্যাটিং পুষিয়ে দিয়েছেন ইরফান শুক্কুর, অধিনায়ক নওয়াজ ও নওয়াজ। প্রথমজন ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নিয়েছেন।

ইনিংসে ছয়টি চারের সঙ্গে দুটি চার মেরেছেন তিনি। শুক্কুরের মতো বাউন্ডারি সংখ্যা একই নওয়াজের। কুড়ি বলে ৪১ রানে অপরাজিত থাকলেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। ১৬ বলে ২৭ রানে অজেয় থাকা রাসেলের ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা। রাজশাহীর পতন হওয়া উইকেটের দুটি নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির।

কিন্তু দারুণ বোলিং করেও শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা হাতের নাগালে রাখতে পারেননি তারা। তাই জয়ের জন্য চ্যালেঞ্জটা নিতে হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের। মুশফিকরা পারবেন তো ১৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে?