সালাহকে হ্যাটট্রিক করতে দিলেন না মানে

পরপর দুই বছর আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। এবার হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরওয়ার্ড। কিন্তু হ্যাটট্রিক করতে দিলেন না তারই ক্লাব সতীর্থ সাদিও মানে। সালাহকে হারিয়ে আফ্রিকা মহাদেশের সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি জিতেছেন সেনেগালিজ এই ফরওয়ার্ড।

মঙ্গলবার রাতে মিশরের হারগাদা শহরে বর্ষসেরা পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়ে মানের হাতে। সেখানে অবশ্য ‍উপস্থিত ছিলেন না সালাহ। তবে ক্লাব সতীর্থ মানেকে ঠিকই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। সালাহ ছাড়াও বর্ষসেরার লড়াইয়ে ছিলেন- আর্সেনালের গ্যাবনিজ ফরওয়ার্ড, পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াং, নাপোলির সেনেগালিজ সেন্টারব্যাক কালিদুসহ অনেকেই।

গেল দুই বছরেও সেরা হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন মানে। কিন্তু ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুবারই সালাহর কাছে হেরেছেন তিনি। তার আগে তৃতীয় সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন সেনেগাল অধিনায়ক। অবশেষে আক্ষেপ দূর হলো মানের। চতুর্থ চেষ্টায় এলো সাফল্যের মুকুট।

সেরার লড়াইয়ে ৪৭৭ পয়েন্ট পেয়ে প্রথম হয়েছেন মানে। লিভারপুলের আক্রমণভাগের আরেক সারথি সালাহর পয়েন্ট ৩২৫। ম্যানচেস্টার সিটির আলজেরিয়ান উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজ ২৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় সেরা নির্বাচিত হয়েছেন। মাহরেজ ২০১৬ সালে আফ্রিকার সেরা হয়েছিলেন।

সেনেগালের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে বর্ষসেরার পুরস্কার জিতলেন মানে। তার আগে ২০০১ ও ২০০২ সালে পরপর দুই বছর আফ্রিকার সেরা হয়েছিলেন এল হাজি দিউফ। মজার ব্যাপার হচ্ছে দিউফও এক সময় লিভারপুলে খেলেছেন। তার উত্তরসূরি হয়ে এখন মাঠ মাতাচ্ছেন মানে।

মানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে লিভারপুল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে হয়েছে রানার্সআপ। এ ছাড়া গেল বছরের শেষ দিকে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছে লিভারপুল। সবমিলিয়ে গত মৌসুমে অল রেডদের হয়ে ৬১ ম্যাচে ৩৪টি গোল করেন মানে। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরো ১২টি গোল।