দক্ষিণ আফ্রিকাকে বাস্তবতা বোঝাল ইংল্যান্ড

টেস্ট ক্রিকেটের দেড় শ বছরের ইতিহাসে চার শোর্ধ্ব রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র চারটি। যার একটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ১১ বছর আগে পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৪১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল প্রোটিয়ারা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত কেপ টাউন টেস্টে আরো বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তারা।

টেস্টে রান তাড়ায় নতুন রেকর্ড গড়ে জিততে হতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ৪৩৮ রানের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের শুরুটা হলো আশা জাগানিয়া। চতুর্থ দিন শেষে জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল তারা। আজ মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষ দিনে স্বাগতিকরা বুঝল বাস্তবতা কতটা কঠিন। স্বাভাবিকভাবেই রান তাড়ায় সফল হননি ডু প্লেসিরা।

জিততে হলে আজ দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হতো ৩১২ রান। ইংল্যান্ডের দরকার ছিল আট উইকেট। ইংলিশরাই তাদের জয়ের সমীকরণ মিলিয়ে ফেলেছে। স্টোকসদের তোপের মুখে প্রোটিয়ারা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২৪৮ রানে। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা থেমেছিল ২২৩ রানে। রোমাঞ্চকর কেপটাউন টেস্টে ইংল্যান্ড জিতল ১৮৯ রানে। এই জয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরল ইংলিশরা। আগামী ১৬ জানুয়ারি পোর্ট এলিজাবেথে তৃতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সকালে দুই উইকেটে ১২৬ রানের পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ কিছুর আভাস দিলেও পরে তা বাতাসে মিলিয়ে গেছে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে প্রোটিয়ারা। সবচেয়ে বড় আশার প্রদীপ ডিন এলগার ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরতেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়।

মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রসি ফন ডার ডুসেন লড়াই চালিয়েছেন অনেক্ষণ। কিন্তু বৃথা গেছে তা। আউট হয়েছেন ৬৮ রানে। এ ছাড়া কুইন্টন ডি কক ২০ রান করেন এবং ভেরনন ফিল্যান্ডার ১৭ রানে অজেয় ছিলেন। বাকি সাত ব্যাটসম্যানই যেতে পারলেন না দুই অংকে। দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকদের পতন হওয়া উইকেটের তিনটি নিয়েছেন বেন স্টোকস।

দুটি করে শিকার জোন ডেনলি ও জিমি অ্যান্ডারসনের। শেষেরজন প্রথম ইনিংসে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তবে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচ সেরা হয়েছেন স্টোকস। স্টোকসের ঝড়ো ব্যাটিং ও ডম সিবলির শতকে আট উইকেটে ৩৯১ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে স্কোর বোর্ডে ২৬৯ রান তোলে তারা।