‘নামাজ পড়ায়’ চীনে একদল পর্যটক আটক!

চীনে ‘অনুমতি’ না নিয়ে নামাজ পড়ায় একদিল মালয়েশিয়ার একদল পর্যটককে আটক করা হয়েছে। যদিও পরে ছেড়েও দেয়া হয়েছে তাদের। মুসলিম হয়েও নামাজ আদায়ের অধিকার খর্ব হওয়ার কাহিনী দেশে ফিরে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন ওই দলের একজন।

যিকরি ফুয়াদ নামের ওই ব্যক্তির ধারাবাহিক পোস্টের ওপর এক প্রতিবেদন করেছে মালয়েশিয়ার অনলাইন নিউজ সাইট ওয়ার্ল্ড অব বাজ।

এতে বলা হয়, চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের এক মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় এ বিপত্তি ঘটে।

প্রথমে মসজিদ পেয়ে আনন্দিত হয়ে তারা ভেতরে নামাজ আদায় করে বের হবার সময় দেখতে পান মসজিদের বাইরে চীনের সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। সেখান থেকেই তাদের আটক করে নিয়ে এক অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

পর্যটক দলের প্রধান খির আরিফিন তখন হাজি আরা নামে আরেক পর্যটককে তার বন্ধু যিনি কিনা মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘বারনামা’র জ্যেষ্ঠ সম্পাদক, তাকে বার্তা পাঠাতে বলেন।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলে দূতাবাসে বার্তা প্রেরণ করতে বলেন তিনি।

এ বার্তা পাঠানোর পরপরই আরিফিন বুঝতে পারেন, চীনে নামার পর থেকেই তাদের অনুসরণ করা হচ্ছিলো। তিনি জানান, তাদের কখনো সুইপার, কখনো দোকানদার ছদ্মবেশে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিলো।

পরে তাদের সঙ্গে থাকা ট্যুর গাইড চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললে কয়েক ঘণ্টা পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

আরিফিনের ধারণা, মিডিয়ার লোক সাথে থাকার কারণে এবং উইঘুরের মুসলিমদের করুণ পরিস্থিতির ব্যাপারে বিশ্ববাসী যেন না জানতে পারে সেজন্যেই হয়তো দ্রুত তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

চীনে মুসলমানদের করুণ পরিস্থিতে উদ্বেগ জানিয়ে আরিফিন বলেন, আটক হবার আগে তারা একটি প্রামাণ্যচিত্রের কাজ করছিলেন। ফুটেজের অংশ হিসেবে একটি পুকুরের পানিতে স্থানীয় বাচ্চাদের খেলার একটি দৃশ্যধারণ করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই তারা এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হন, তা ছিলো তাদের কল্পনারও বাইরে।