‘মাস কিলিংয়ে’ যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড

‘মাস কিলিং’ এর আক্ষরিক অর্থ হত্যাযজ্ঞ বা গণহত্যা। সংজ্ঞার ভিত্তিতে মাপতে গেলে, একই হত্যার ঘটনায় চারজন বা তার বেশি মানুষ মারা গেলে তা মাস কিলিং এর ভেতর পরে। আর এ বছরে যুক্তরাষ্ট্রে মাস কিলিং এর সংখ্যা আর যেকোনো বছরকে ছাড়িয়ে গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন সব মাস কিলিং নিয়ে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে এবং নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির এক যৌথ গবেষনা। তাদের তথ্যানুসারে ২০১৯ সালে মোট ৪১টি মাস কিলিং এর ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২১১ জন।

গবেষণা অনুযায়ী ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ঘাতক বা তাদের কোন সহযোগী ছাড়া ৪ বা ততোধিক ব্যক্তি একই ঘটনায় নিহত হলে তাকে মাস কিলিং হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

তথ্যানুসারে, চলতি বছরে যে ৪১টি মাস কিলিং এর ৩৩টিতে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার রয়েছে। আর অঙ্গরাজ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৮টি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।

২০১৯ সালের মারাত্মকতম ঘটনাগুলোরর মধ্যে রয়েছে মে মাসে ভার্জিনিয়া বিচে ১২ জন এবং আগস্টে এল পাসোতে ২২ জনের নিহত হবার ঘটনা দুটি।

মাস কিলিং নিয়ে এমন গবেষণা চালানো হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। সে বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোট ৩৮টি মাস কিলিং সংঘটিত হয়েছিলো। তবে গবেষণার ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি পেয়েছে এবং এবারই সবচেয়ে বেশি মাস কিলিং এর ঘটনা ঘটলো দেশটিতে।

২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি মাস কিলিং এর ঘটনা ঘটলেও, প্রাণনাশের হিসেবে ২০১৭ সাল এগিয়ে। ওই বছরে মারা গিয়েছিলেন ২২৪ জন।

ওই বছর শুধুমাত্র লাস ভেগাসের এক গানের কনসার্টে এলোপাথাড়ি বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছিল ৫৯ জন এবং আহত হয়েছে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ, যা কিনা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাস কিলিং।