ঘড়ির ভেতর গুপ্তধন!

রূপকথার গল্পে কলস ভর্তি স্বর্ণমুদ্রা বা গুপ্তধন পাওয়ার মতো কাহিনী শোনা যায়। এমনকি বাস্তব জীবনেও মাঝে মাঝে অনেক পুরানো আমলের আসবাবপত্র বা অর্থ পাওয়ার ঘটনা ঘটে। যা কোন অংশেই গুপ্তধনের থেকে কম কিছু নয়। তেমনি সম্প্রতি খোলাবাজার থেকে একটি পুরনো ঘড়ি কিনে তার মধ্যে গুপ্তধনের সন্ধান পেয়েছেন এক জার্মান ব্যাক্তি।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জার্মানির বিভিন্ন শহরের খোলাবাজারগুলোতে প্রায় সময় সস্তা পণ্য বিক্রির পসরা বসে। তেমনি গত ছয় মাস আগে দেশটির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের আউরিশ শহরের খোলাবাজার থেকে একটি পুরনো ঘড়ি কেনেন এক ব্যাক্তি।

ঘড়িটি বাসায় নিয়ে যাওয়ার পর রীতিমতো অবাক বনে যান তিনি। কারণ ঘড়ির কাঠের প্যানেলের ভেতর রয়েছে এক গাদা ডয়েচ মার্কের নোট। যা ইউরো চালু হওয়ার আগে দেশটির মুদ্রা ছিল। পরে তিনি নোটগুলো ঘড়ির ভেতর থেকে বের করে গুনে দেখেন সেখানে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার ডয়েচ মার্ক রয়েছে।

এরপর প্রকৃত মালিকের খোঁজে অর্থগুলোর স্থানীয় সরকারি 'লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডে' অফিসে নিয়ে যান ওই ব্যাক্তি। সেখানে সেগুলো ছয় মাস রাখা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোন ব্যাক্তি অর্থগুলোর মালিকানা দাবি না করায় আইনগতভাবে সেগুলোর মালিক বনে যান ওই ভাগ্যবান ব্যাক্তি। কিন্তু স্থানীয় বাজারে বর্তমানে ডয়েচ মার্কের প্রচলন না থাকায় তিনি সেগুলো ব্যাংকে জমা দেন এবং সেখান থেকে সমপরিমাণ ইউরো পান। এ যেনো রীতিমতো গুপ্তধন পাওয়া।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে জার্মান সরকার দেশটির ডয়েচ মার্ক বন্ধ ঘোষণা করে ইউরো চালু করে। তখন এক ইউরো সমান ছিল ১ দশমিক ৯৫৫ মার্ক। সে হিসাবে ওই ব্যাক্তি ৫০ হাজার ডয়েচ মার্ক ব্যাংকে জমা দিয়ে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৭৫ ইউরো। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। তবে মার্কগুলো ব্যাংক থেকে পরিবর্তন করার জন্য ওই ব্যাক্তিকে আউরিশ শহর কর্তৃপক্ষকে ৫৫ হাজার টাকা ফি পরিশোধ করতে হয়েছে।