ইডেন গার্ডেন ডাকছে মাশরাফিদের!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডকে লক্ষ্য বানিয়েছিলেন মাশরাফি। সেই লক্ষ্যটা তো পূরণ হয়ে গেলো। এখন মাশরাফির লক্ষ্য কী? আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন লক্ষ্যের কথা জানাননি বাংলাদেশের অধিনায়ক। আপাতত লক্ষ্যটা তাই আন্দাজ করে নিতে হবে। তার আগে আরো একটা বিষয় রাখতে হবে মাথায়- মাশরাফিদের ডাকছে ইডেন গার্ডেন্স!

মিরপুরে হাজার হাজার দর্শকের সামনে প্রায়ই খেলেন মাশরাফিরা। বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই মিরপুরের গ্যালারি পরিণত হবে জনসমুদ্রে। ২৫ হাজারের কিছু বেশি ধারণক্ষমতার মিরপুরেই যদি জনসমুদ্র হয়, তবে ভেবে দেখুন ৬৬ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার ইডেনে কী হবে!

কালকের দিন পর, ১৬ মার্চ ইডেনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান। নিশ্চিতভাবেই সে দিন বাংলাদেশের সমর্থক থাকবে বেশি। ঐতিহ্যগতভাবেই পাকিস্তানকে সমর্থন দেয়ার প্রশ্নই উঠে না কলকাতাবাসীর। সে হিসেবে ১১ জন বাঙালির বিশ্বকাপ যুদ্ধে তাদের অকুণ্ঠ এবং হয়তো একটু বেশিই আবেগি সমর্থন থাকার কথা মাশরাফিদের প্রতি।

২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে মেলবোর্নে প্রায় এক লাখ দর্শকের সামনে খেলেছেন মাশরাফিরা। কিন্তু বাস্তবতা হলো ওই ম্যাচে বেশিরভাগ দর্শকই ছিলো ভারতের সমর্থক। সে হিসেবে ইডেনেই বোধহয় ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এটা ভেবে নিশ্চয় রোমাঞ্চিত মাশরাফি এবং তার দল।

ক্রিকেট বিশ্বের বড় এবং ক্রিকেটারদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্টেডিয়ামগুলোর তালিকা করলে ইডেন গার্ডেন্স থাকবে উপরের দিকেই। ভারতের তো বটেই, বিশ্বেরই অন্যতম বড় এটি। সেখানে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলার সুযোগ পেয়েছিলো ২৫ বছরেরও বেশি সময় আগে।

আইপিএলের নিয়মিত সদস্য হিসেবে ইডেন সাকিবের কাছে বড় চেনা জায়গা। ইডেনে বছর কয়েক আগে বেশ কিছু অনুশীলন সেশনে ছিলেন মাশরাফিও। কিন্তু তাসকিন- সাব্বিরদের মতো তরুণদের কাছে ইডেন স্বপ্নের উদ্যান; কোনো সন্দেহ নেই। যে উদ্যানে খেলতে নেমে তাদের কান ঝালামালা হয়ে যাওয়ার কথা নিজেদের নাম শুনতে শুনতেই! কারণ, কলকাতার বাঙালিরা নিশ্চয় পাকিস্তানের কোনো খেলোয়াড়ের নাম ধরে শ্লোগান দিবেন না। এটা ভাবতেই কি তামিম-তাসকিন-সাব্বিরদের অনুপ্রেরণা বেড়ে যাচ্ছে না!

গত ২৫ বছরে একবারও না খেললেও এই বিশ্বকাপে অন্তত দুইবার ইডেনে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন মাশরাফিরা। প্রথমবার ১৬ মার্চ পাকিস্তানের সঙ্গে, দ্বিতীয়বার ২৮ মার্চ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। মাঝখানে দুটি ম্যাচ খেলতে হবে ব্যাঙ্গালুরুতে। আর যদি ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়, যদি ভারত-পাকিস্তান-অস্ট্র্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে টপকে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠতে পারে, তবে আরো একবার ইডেনের সবুজ ঘাসে দেখা যেতে পারে ১১ বাঙালির সদম্ভ বিচরণ!

আপনি আরো পড়তে পারেন

ব্যাটে রান, বলে উইকেট: সাকিবকে নিয়ে খুশি অধিনায়ক

সেঞ্চুরির প্রতিশ্রুতি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন তামিম

তামিমের চোখ আরো উঁচুতে

সবার নায়ক তামিম, তার নায়ক সাব্বির