জৌলুস ছড়িয়েই যাচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ মিরাজ সাইফ

জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডে দুই ইনিংস মিলিয়ে ছয় উইকেট নেয়ার পাশাপাশি এক ইনিংসে ব্যাটিং করে ৬৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার নিজের ফর্মটা ধরে রাখলেন দ্বিতীয় রাউন্ডেও। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে খুলনা বিভাগের হয়ে আজও ঠিক ৬৩ রানের ইনিংস খেলেছেন রিয়াদ।

এদিকে শ্রীলঙ্কায় দুর্দান্ত খেলে আসা তরুণ মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাইফ হাসান জাতীয় লিগেও দারুণ পারফর্ম করেছেন। তবে রান পাননি মুশফিকুর রহিম।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মাহমুদুল্লাহ রান পেলেও তার দল ঢাকা মেট্রো অবশ্য খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে রাজধানীর দলটি। মাহমুদুল্লাহই ঢাকা মেট্রোর সেরা রান সংগ্রাহক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেছেন বোলার শহিদুল ইসলাম।

সিলেটের হয়ে রেজাউর রহমান ৪ উইকেট নিয়েছেন চার উইকেট। পরে ব্যাটিং করতে নেমে ১ উইকেটে পাঁচ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে সিলেট বিভাগ।

লিগের অপর ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে খুলনায় রাজশাহী বিভাগকে ২৬১ রানে গুটিয়ে দিয়েছে খুলনা বিভাগ। মিরাজ ২১.৩ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচায় নিয়েছেন চার উইকেট। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ করেছেন জুনাইদ সিদ্দিকি। ফরহাদ হোসেন ৪৫ ও ফরহাদ রেজা ৪১ রান করেছেন।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তরুণ সাইফ হাসান। ১৭৩ বল খেলে ১৩টি চার ৩টি ছয়ে ১২০ রান করেন ২১ বছর বয়সী তরুণ। সাইফ আজ আউট হননি, মাঠ ছেড়েছেন আহত হয়ে। সাইফের সেঞ্চুরিতে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩১৪ রান তুলে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে ঢাকা বিভাগ। ঢাকার পক্ষে রনি তালুকদার (৬৫) এবং রাকিবুল হাসানও (৫৭) রান পেয়েছেন।

ফতুল্লায় বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগও প্রথম দিনটা বেশ ভালোই কেটেছে। কেউ সেঞ্চুরি না পেলেও ৪ উইকেটে ২৬১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে বন্দর নগরির দলটি। চট্টগ্রামের হয়ে ইয়াছির আলী ৬৮ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৬৯ রানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। বশিলালের হয়ে মনির হোসেন দুটি উইকেট দখল করেছেন।